বোলপুর: বেআইনি বিস্ফোরকের কারবারের অভিযোগে এনআইএ-র হাতে আটক তৃণমূল নেতা ইসলাম চৌধুরী। শুক্রবার ইসলামকে তাঁর গ্রামের বাড়ি থেকে আটক করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। এরপর তাঁকে পাইকর থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে এনআইএ। সূত্রের খবর, এখনও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে তদন্তকারীরা। ইসলাম বীরভূমের কুশমোড় দু’নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের প্রতীকে জয়ী হন। এনআইএ সূত্রে খবর, ইসলামের বিস্ফোরক নিয়ে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব ছিল। তার বাড়ি থেকে বেশ কিছু নথি এবং ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করেছে এনআইএ।
উল্লেখ্য, নির্বাচনের পরে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন বীরভূমের নলহাটির বানিওর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রার্থী মনোজ ঘোষ। পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফল প্রকাশ হতেই দেখা যায় তিনি জয়লাভ করেছেন। অবৈধ বিস্ফোরক রাখার অপরাধে তাঁকেও গ্রেফতার করে এনআইএ। গত ২৮ জুন বীরভূমের নলহাটি থানার বাহাদুরপুর গ্রামে পাথর ব্যবসায়ী মনোজের বাড়ি ও অফিসে হানা দেয় এনআইএর তদন্তকারীরা। সেইদিন তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় অবৈধ বিষ্ফোরক। ঘটনার পর পলাতক ছিলেন পাথর ব্যবসায়ী মনোজ। এদিন দুপুরে নলহাটি থানায় পৌঁছন এনআইএ-র আধিকারিকেরা এবং সেখানেই তাঁকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তাঁরা। এরপরই তাঁকে গ্রেফতার করেন এনআইএর আধিকারিকেরা।
আরও পড়ুন: নিরাপত্তা চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ নওদার পঞ্চায়েতের জয়ী কংগ্রেস-আরএসপির সদস্যরা
এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৮ জুন মনোজের পাথরে গোডাউনে হানা দেয় তদন্তকতারীরা। সেখান থেকে ব্যাগবোঝাই বিস্ফোরক এবং একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে এনআইএ। সূত্রে আরও জানা যায়, মনোজের দফতর থেকে প্রচুর জিলেটিন স্টিক, ৮৫ হাজার ইলেকট্রিক ডিটোনেটর এবং ২ হাজার ৭০০ কিলোগ্রাম অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট উদ্ধার করে এনআইএ। ওই কাণ্ডে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মনোজ। এরপর ভোট মিটতেই সোমবার তাঁকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।