বীরভূম: মহিলাদের কথা মাথায় রেখে মহিলা পরিচালিত বুথের ব্যবস্থা করা হয়েছিল বীরভূমের ময়ূরেশ্বরে। কিন্তু ভোটের দিনে সেই বুথে বসেই কাঁদতে দেখা গেল মহিলা প্রিসাইডিং অফিসারকে। ময়ূরেশ্বর ২ নম্বর ব্লকের ১০ নম্বর বুথের ঘটনা। বুথে ঢুকে অবাধে চলছে ছাপ্পা ভোট। আর তাতেই ভয়ে কাঁদছেন ওই মহিলা প্রিসাইডিং অফিসার। নেই কোনও কেন্দ্রীয় বাহিনী, নেই পুলিশ। বন্ধ হয়ে গিয়েছে ভোট গ্রহণ।
স্থানীয় সূত্রে খবর শনিবার সকাল ৭ টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। শুরুর দিকে সব ঠিকঠাক ছিল। এলাকার মহিলারা একে একে এসে ভোট দান করেন। কিন্তু ঘণ্টাখানেক পর হঠাৎ বুথে ঢুকে পড়ে একদল লোক। অন্তত ৫০-৬০ জন। তাঁরা কোন রাজনৈতিক দলের কর্মী তা এখনও জানা যায়নি। তারপর চলে দেদার ছাপ্পা। নিরাপত্তার জন্য লাগানো সিসিটিভি ভেঙে দেওয়া হয়। তাঁদের কাছ থেকে অবাধে ছিনিয়ে নেওয়া হয় ব্যালট। কার্যত অসহায় বোধ করেন ভোটকর্মীরা। বন্ধ হয়ে যায় ভোট গ্রহণ।
আরও পড়ুন: Panchayat Election 2023 | Hariharpara | হরিহরপাড়ায় ব্যালট বক্স ছুড়ে মাথা ফাটানো হল মহিলার!
আশেপাশে কোথাও পুলিশ নেই, নেই সিসিটিভিও। এই মুহূর্তে তাঁরা কী করবেন বুঝে উঠে না পেরে কান্নায় ভেঙে পড়েন মহিলা ভোটকর্মীরা। সেক্টর অফিসে জানানোর ২ ঘণ্টা পরেও বুথে কারও দেখা পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ। বুথে একজন মাত্র সশস্ত্র পুলিশ ছিল। বুথের বাইরে লম্বা লাইন থাকা সত্ত্বেও ভোটগ্রহণ শুরু করতেই পারেননি তাঁরা।
লাগাম ছাড়া হিংসা জারি রয়েছে ভোটের দিনেও। গতকাল রাত থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে অশান্তি। কোথাও আবার রাত ২টোয় ভোট হয়ে গিয়েছে বলে বুথে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। জেলায় জেলায় বুথে বুথে রীতিমতো লুঠ চলছে। আশঙ্কাই সত্যি হয়েছে। ব্যলট পেপার লুঠ করা হচ্ছে প্রকাশ্যে। বুথে ঢুকে চলছে দেদারে ছাপ্পা ভোট। কোথাও কোনও কেন্দ্রীয় বাহিনী নেই। এমনকী রাজ্য পুলিশের দেখাও পাওয়া যাচ্ছে না।