গড়বেতা: নিজের বুথেই প্রার্থী দিতে পারলেন না সিপিএমের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক সুশান্ত ঘোষ। সুশান্ত ঘোষের নিজের গ্রাম গড়বেতার (Garhbeta) বেনাচাপড়া গ্রামে, গ্রাম পঞ্চায়েত আসনে নেই কোন সিপিএম প্রার্থী। সুশান্তবাবু নিজে চন্দ্রকোনায় থাকলেও তিনি বেনাচাপড়ার ১৮৬ নম্বর বীরসিংপুর বুথের ভোটার। কিন্তু এবার সেখানে গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রার্থী দিতে পারেনি সিপিএম। যদিও পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদে লড়ছেন সিপিএমের প্রার্থীরা।
ঝাড়গ্রামে দিলীপ ঘোষ তার নিজের গ্রামেই বিজেপি প্রার্থী দিতে পারেনি। ঝাড়গ্রাম এর বিজেপি সাংসদ কুনার হেমব্রমও নিজের গ্রামে প্রার্থী দিতে পারেনি। এবার সেই তালিকাতে সিপিএমের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক সুশান্ত ঘোষ। সুশান্ত ঘোষের (Susanta Ghosh) দাবি সেটি সংরক্ষিত আসন ছিল, শংসাপত্রের জটিলতায় প্রার্থী সংকট তৈরি হয়েছিল। তাই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থী দিতে পারিনি শেষ মুহুর্তে৷ এমন অনেক স্থানেই হয়েছে আমাদের। এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের দাবি মানুষ আজও ওদের ভরসা করতে পারছে না। তাই ওদের প্রার্থী সংকট হয়েছে।
তৃণমূলের মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, দিলীপ ঘোষ থেকে সুশান্ত ঘোষ নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে যত বেশি বলবেন, মানুষ তত বেশি ওদের অপছন্দ করবে। ওদের পাশে দাঁড়াবার কেউ নেই বলেই ওরা নিজের এলাকাতেই প্রার্থী দিতে পারেনি। আমরা কোথাও কাউকেই বাধা দিইনি৷ বরং বলেছি কেউ যদি প্রার্থী দিতে গিয়ে সমস্যা পড়েন, জানালে সহযোগীতা করবো৷
উল্লেখ্য,সরকার পরিবর্তনের পরেই ওই বেনাচাপড়া গ্রামের পাশে দাসেরবাঁধে সিপিএমের কর্মীদের দেখানো স্থান খুড়ে বহু নরকঙ্কাল উদ্ধার হয়েছিল৷ তৃণমূলের অভিযোগ ছিল সেগুলি সবই কেশপুরের নিখোঁজ তৃণমূল কর্মীদের দেহ৷ যাদের খুন করে পুঁতে দিয়েছিল সিপিএমের নেতারা৷ সেই বেনাচাপড়া কান্ডে প্রধান অভিযুক্ত বলে দাবি করে গ্রেফতার করা হয়েছিল সুশান্ত ঘোষকে৷ যে মামলাতে বেশ কয়েকমাস জেল খেটে আদালতের নির্দেশে গ্রামের বাইরেই ছিলেন সুশান্ত ঘোষ৷তারপরও পরিস্থিতি স্বাভাবিক নেই বলেই দাবি স্থানীয়দের৷
প্রসঙ্গত, শুধু গড়বেতা নয়, পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) আগেই বীরভূমে ৫ পঞ্চায়েত সমিতি দখল রাজ্যের শাসক দলের। নানুর, লাভপুর, বোলপুর, ইলামবাজার, সিউড়ি ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতি দখল তৃণমূলের। ৫টি পঞ্চায়েত সমিতিতেই বিরোধীরা প্রার্থী দিলেও পরে প্রত্যাহার করে নেন। পঞ্চায়েত ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ হওয়ার পর রাজ্য আকাশের অশান্তির কালো মেঘ। মনোনয়ন পর্বে কোচবিহার, ক্যানিং, চোপড়া, মুর্শিদাবাদ সহ একাধিক জেলা উত্তপ্ত হয়ে হয়ে উঠেছিল। বিরোধীদের অভিযোগ শাসকদলের জন্য একাধিক জায়গায় প্রার্থী দিতে পারেনি। বিরোধী দলের প্রর্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহারে চাপ দিচ্ছে তৃণমূল।