ভাতার: ভোট চাইতে এসে বিপাকে এলাকার তৃণমূল বিধায়ক। পূর্ব বর্ধমানের (East Burdwan) ভাতারের বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারীকে এক হাঁটু কাদায় নামালেন এলাকাবাসীরা। ভোটের প্রচারে গিয়ে ভাতারে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে বিধায়ক। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই গ্রামের মূল রাস্তার বেহাল দশা। বিধায়ক হেটে দেখুক কেমন লাগে? গ্রামবাসীরা কোনও সমস্যার মধ্যে দিয়ে নিত্যদিন যাতায়াত করে সেটা বুঝবেন বিধায়ক। তবে যদি রাস্তার সাড়াইয়ের উদ্যোগ নেন। কার্যত স্বীকার করে নিলেন বিধায়ক রাস্তা খারাপ। ভোটের জন্য কাজ দেরি হচ্ছে ভোটের পরেই রাস্তা তৈরীর কাজ শুরু হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিলেন।
ইতিমধ্যেই দক্ষিণবঙ্গে বর্ষার ঢুকে গেছে, পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Vote) প্রচার ও জোড় কদমে চলছে। বৃষ্টি শুরু হতেই রাজ্যের জেলায় জেলায় রাস্তার বেহাল দশা। কয়েক পশলা বৃষ্টিতেই একাধিক রাস্তা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন অনেক রাস্তা সংস্কার না হওয়ায় দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে সেই সব এলাকার বাসিন্দাদের যাতায়াত। পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের কালুত্বক গ্রামের স্কুল মোড় এলাকায় গ্রামের মূল সংযোগকারী রাস্তা বেহাল দশা। বর্ষা এলে কাদা ও হাটাজলে দায় হয়ে ওঠে এলাকাবাসীদের।
শনিবার সকালে, ভাতারের কালুর চট্টগ্রামের প্রচারে যান ভাতার পঞ্চায়েত সমিতির ৯ নম্বর আসনের প্রার্থী আব্দুর রউকের সমর্থনে এলাকার বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী গ্রামের মানুষের কাছে ভোট চাইতে গেলে বিপত্তিতে পড়ে। গ্রামবাসীরা তাকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায়, অবিলম্বে এই রাস্তা মেরামত করতে হবে। এই মুহূর্তে এই এক হাঁটু কাঁদার রাস্তায় আপনাকে হাঁটতে হবে। বিপাকে পড়ে বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী, ওই কাদা রাস্তায় বেশ কিছুটা হাটলেন এরপরে গ্রামবাসীদের আশ্বস্ত করেন যে খুব শীঘ্রই রাস্তা করে দেয়া হবে। প্রবাদ বাক্য আছে ঠেলায় পড়লে , তবে বিড়াল গাছে ওঠে। সেরকমই হাল হলো এলাকার বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী