কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোটার দিন ৮ রাউন্ড গুলি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, উত্তর দিনাজপুর ও জলপাইগুড়িতে মোট ৮ রাউন্ড গুলি চালানো হয়েছে শূন্যে। আদালতে হলফনামা পেশ করে এমনটাই জানাল বিএসএফ। দিনভর বিভিন্ন ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোট ১১ টি এফআইআর দায়ের করেছে। তাদের লক্ষ্য করে বিভিন্ন জায়গায় বোমা আর পাথর ছোঁড়ার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে বিএসএফের ওই হলফনামায়।
পঞ্চায়েত ভোট হিংসা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ বিএসএফের আইজি এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনের হলফনামা চেয়েছিল আগেই। আদালতের নির্দেশেই কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং রাজ্য প্রশাসন ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের মধ্যে সমন্বয়ের দায়িত্বে ছিলেন বিএসএফের আইজি। বিএসএফ কর্তার অভিযোগ ছিল, বারবার বলা সত্বেও নির্বাচন কমিশন স্পর্শকাতর বুথের তালিকা তাদের কাছে দেয়নি।এমনকী ভোটের দিন ভোরবেলা কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে পাঠায়। আদালত এই পরিপ্রেক্ষিতেই বলে বিএসএফের অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর। তারপরেই হাইকোর্ট বিএসএফকে হলফনামা পেশ করতে বলে। সেই মতোই এদিন বিএসএফ ওই হলফনামা পেশ করেছে আদালতের কাছে।
আরও পড়ুন: Panchayat Election 2023 | কোচবিহারে বিজেপির তথ্যানুসন্ধান দল, আহত এবং মৃতের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাত
গণনা শেষ হওয়ার আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী অনেক বুথে অত্যাচার চালিয়েছে। এমনকী কোথাও কোথাও গুলিও চালায়। মুখ্যমন্ত্রীর সুরেই শাসকদলের অন্য নেতা মন্ত্রীদের মুখে শোনা গিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে অতিসক্রিয়তার অভিযোগ। শাসকদলের সেই অভিযোগ খণ্ডন করে বিএসএফ এদিন হলফনামায় জানিয়ে দিল, ভোটের দিন কেন্দ্রীয় বাহিনী মাত্র ৮ রাউন্ড গুলি চালিয়েছে, তাও শূন্যে। উল্টে তারাই যে আক্রান্ত হয়েছে, হলফনামায় সে কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
ভোটের দিন হিংসা নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী এবং রাজ্যে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী পৃথক ভাবে মামলা করেছিলেন। অধীর ওই হিংসার ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি করেন। অধীরের মামলার ভিত্তিতেই আদালত বিএসএফ এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে হলফনামা পেশ করার নির্দেশ দেয়।