কলকাতা: প্রথমবারেই বিপত্তি৷ সিপিআইএম(CPIM)-র রাজ্য সদর দফতর মুজাফ্ফর আহমেদ ভবনে জাতীয় পতাকা উঠল। সেই উল্টো জাতীয় পতাকা তুললেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু (Biman Basu)। তবে, পতাকা সম্পূর্ণ ওঠেনি৷ সম্পূর্ণ পতাকা ওঠার আগেই বিষয়টি নজরে আসে মহম্মদ সেলিমের৷ তিনি সঙ্গে সঙ্গে বিমান বসুকে থামান। তারপরই সোজা করে পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে এই বিভ্রাটের বিষয়েক জানতে চাওয়া হলেও কিছুই বলতে চাননি৷বিশিষ্টদের মতে অনভ্যাসের কারণেই এই বিপত্তি৷
আরও পড়ুন- পদত্যাগ করলেন আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসরাফ ঘানি
এ দিন বিমান বসু বলেন, এবার থেকে প্রতি বছর মুজাফ্ফর আহমেদ ভবন এবং সিপিএমের সমস্ত পার্টি অফিসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।
আরও পড়ুন- তালিবানকে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে চলেছে আফগান সরকার
৭৫তম স্বাধীনতা দিবসে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন বিমান বসু, সুজন চক্রবর্তী, মহম্মদ সেলিম সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। পতাকা উত্তোলনের পাশাপাশি উপস্থিত সকলকে শপথ বাক্য পাঠ করান বিমান বসু।
আরও পড়ুন- স্বাধীনতার ৭৫ বছরে ভিক্টোরিয়ার শীর্ষে উড়ল ৭৫০০ বর্গফুটের জাতীয় পতাকা
সকালে লালকেল্লায় প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে মাতঙ্গিনী হাজরাকে অসমবাসী বলেছেন৷ এ বিষয়ে বিমান বসু বলেন, প্রধানমন্ত্রী তাঁর পিওনের থেকে তথ্য নিলে এই ভুল করতেন না। তিনি আরএসএস দ্বারা পরিচালিতো৷ তাই মাতঙ্গিনী সম্পর্কে কিছুই জানেন না। ভারত নির্মাণ নয় ভারত ভাঙার কাজ করছে মোদি সরকার বলেও কটাক্ষ করেন৷
আরও পড়ুন- ‘দেশটা সবার নিজের’, গান লিখে সম্প্রীতির বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর
এখানেই থামেননি বিমানবাবু৷ রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করে তিনি আরও বলেন, করোনা কারণে নানান বিধি-নিষেধ রয়েছে। স্কুল,কলেজ বন্ধ থাকলেও খেলা হবে কর্মসূচি হচ্ছে। এই কর্মসূচিতে করোনা বিধি কতটা মানা হবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে৷