আলিপুরদুয়ার: রবিবারের টর্নোডোর আতঙ্কের মধ্যেই সোমবার সন্ধ্যায় হঠাৎই কেঁপে উঠল উত্তরবঙ্গের (North Bengal) আলিপুরদুয়ার (Alipurduar), কোচবিহার, ফালাকাটর কিছু অংশ। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ২.৮।
আরও পড়ুন: কারার ওই লৌহকপাট, ভেঙে ফেল কর রে লোপাট (পর্ব ৩২)
এদিন বিকেল ৫টা ১৫ বেজে ৫৫ মিনিটে নাগাদ কেঁপে ওঠে ওই এলাকা। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল আলিপুরদুয়ার বলেই জানা গিয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর পাওয়া যায়নি। ঘটনার জেরে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রবিবারের ঘূর্ণিঝড়ে ১১টি ভোটকেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত, জানাল নির্বাচন কমিশন
উল্লেখ্য, রবিবারের ঝড়ের দাপটে (Cyclone in Jalpaiguri) তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে কাঁচা-পাকা বহু বাড়ি। বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ায় বিস্তীর্ণ এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। চারিদিকে প্রচুর গাছ পড়ে রয়েছে। ধ্বংসের ছবি স্পষ্ট। কয়েক মিনিটের ঘূর্ণিঝড়ে তছনছ হয়ে যায় জলপাইগুড়ি জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। জলপাইগুড়ির ভোট শিয়রে। এই অবস্থায় সব রাজনৈতিক দল নেমে পড়েছে ঝঞ্ঝায় দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাতেই বিধ্বস্ত এলাকাগুলি ঘুরে দেখেন। মৃতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালেও আহতদের দেখতে যান তিনি। আহতদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্তরা কেউ বঞ্চিত হবে না। পাশাপাশি, সোমবার বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমেই শিলিগুড়ি হাসপাতালে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিমানবন্দরেই কেন্দ্রকে তোপ দেগে অভিযেক বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যের প্রাপ্য আবাস যোজনার টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র। এই টাকা ছেড়ে দিলে রবিবারের ঝড়ে এত ক্ষয়ক্ষতি হত না। মানুষের প্রাণহানি ঘটত না। আবাসের ঘর পেলে, টাকা দিলে এই বিপর্যয় এড়ানো যেত। মানুষগুলির মাথায় ছাদ থাকত। তাঁর দাবি, এর দায় কেন্দ্রীয় সরকারকে নিতে হবে।
আরও খবর দেখুন