কলকাতা টিভি ওয়েবডেস্ক: বিনয় তামাং এর সঙ্গে তার বৈঠকে কোনও রাজনৈতিক আলোচনা হয়নি। গতকাল বুধবারের বৈঠক নিয়ে মুখ খুললেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুং। বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, বহুদিন ধরেই বিনয় তামাং এর কাছে কুরকা জনমুক্তি মোর্চার কিছু ছিল। দলের সেই সমস্ত ফ্ল্যাগগুলি ফিরিয়ে দিতেই তাঁর কাছে এসেছিলেন বিনয় তামাং।
পাশাপাশি তিনি বিনয়কে নিজের ভাইয়ের মতন দেখেন। যেকোনও পরিস্থিতিতে তাঁর কাছে আলোচনার জন্য আসতে পারেন বিনয় তামাং। গত কালের আলোচনায় বিনয় তামাংকে মোর্চা সুপ্রিমো এমনটাই জানিয়েছেন। সাংবাদিকদের এমনটাই জানালেন বিমল গুরুং। এছাড়াও পাহাড়ের করোনা পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয় দুই নেতার। ভিন রাজ্য থেকে ফিরে আসা রোজকার হারানো শ্রমিকদের অবস্থার কথা উঠে আসে গতকালের আলোচনায়। বিনয় তামাং এর সঙ্গে আলোচনা সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক বলেই দাবি করেন মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুং।
উল্লেখ্য, গতকাল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার দুই শীর্ষ নেতা বিমল গুরুং এবং বিনয় তামাং এর বৈঠক ঘিরে দানা বাঁধে চাঞ্চল্য। দার্জিলিং-এর সিঙ্ঘাহার এলাকার পাতাবাং গেস্ট হাউসে আলোচনায় বসেন ওই দুই নেতা।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পাহাড়। সেসময় বিমল গুরুঙের নেতৃত্বে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘাতে লিপ্ত হয় রাজ্য পুলিশ। আন্দোলনকারীদের প্রতি প্রাণ হারান পুলিশকর্মী অমিতাভ মালিক। বিমল গুরুং এর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়। সে সময় থেকেই বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় বিনয় তামাং এর। ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। পরবর্তীকালে গোর্খা টিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা জিটিএর চেয়ারম্যান হিসেবে বিনয় তামাংকে নিয়োগ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় থেকেই বিমল দিনের মধ্যে রাজনৈতিক শীতলতা বজায় ছিল।
যদিও পূর্বে বিজেপির সঙ্গে সখ্যতা থাকলেও লাভের গুড় পাননি বিমল গুরুং। তাই এবার বিধানসভা নির্বাচনে পাহাড়ের তৃণমূলের হয়েই প্রচার করেছিলেন বিমল গুরুং। ‘অরাজনৈতিক’ হলেও গতকালের বৈঠক সেই শৈত্য কিছুটা কমল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।