বামনগোলা: বিজেপি কর্মীর রহস্যমৃত্যুর প্রতিবাদে পুলিশ ফাঁড়িতে ভাঙচুরের ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু পুলিশের। মালদহ উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু (Khagen Murmu) এবং হবিবপুরের বিধায়ক জুয়েল মুর্মু-সহ মোট ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু। তাদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে থানা ঘেরাও, ভাঙচুর, রাস্তা আটকে বিক্ষোভ-সহ একাধিক অভিযোগে মামলা দায়ের করে বামনগোল (Bamangola) থানার পুলিশ (Police Station)।
বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু এবং হবিবপুরের বিধায়ক জুয়েল মুর্মু। তাঁর শরীরেও একাধিক ক্ষতচিহ্ন ছিল। এবার পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল প্রার্থী ছিলেন বুরনের পুত্রবধূ। বিজেপি প্রার্থীর কাছে হেরেও যান তিনি। প্রতিবেশীদের দাবি, তারপর থেকে বাড়িতে অশান্তি শুরু হয়। তারপরই তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। উত্তর মালদহের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু বলেছিলেন, বুরন আমাদের দলের ওই প্রবীণ কর্মী ছিল। তাঁকে পরিকল্পিত ভাবে খুন করা হয়েছে। তাঁর ছেলে এবং স্ত্রী মিলে খুন করেছেন। মারধর করে খুনের পর আত্মহত্যার তত্ত্ব খাড়া করতে দেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee | জেলায় জেলায় ‘আদিবাসী দিবস’ পালনের নির্দেশ মমতার
গত ১৭ জুলাই পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে নালাগোলা পুলিশ ফাঁড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। পুলিশ ফাঁড়ি ভাঙচুর করেন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু এবং হবিবপুরের বিধায়ক জুয়েল মুর্মুর সহ বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। এছাড়া কর্তব্যরত পুলিশ অফিসারকে শারীরিক ভাবে হেনস্থারও অভিযোগ রয়েছে। যদিও এই মামলাকেও শাসকদলের ষড়যন্ত্র হিসাবে দেখছে বিজেপি। অন্যদিকে, এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূল বলে অনৈতিক কাজ করলে পুলিশ প্রশাসন তো ব্যবস্থা নেবেই। ওই ঘটনায় বিজেপির সাংসদ ও বিধায়ক সহ ২০ জনের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর, কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীদের হেনস্থা, সরকারি কাজে বাধা-সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে।