ওয়েবডেস্ক- দুর্গাপুর (Durgapur) কাণ্ডে নয়া মোড়। নির্যাতিতার (Victim) পোশাকে সহপাঠীর যৌনরস। এই ঘটনা যে গণধর্ষণ নয়, তা আগেই বলে দিয়েছিল পুলিশ, এবার তদন্ত যে দিকে এগোচ্ছে ততই সামনে আসছে একাধিক তথ্য।
পুলিশ সূত্রে খবর, ফরেন্সিক রিপোর্ট (Forensic report) এসেছে। সেখানে নির্যাতিতার পোশাকে সহপাঠীর যৌনরস (Sexual Fluids) পাওয়া গেছে। তবে অভিযুক্তের পোশাকের পোশাকের সব নমুনার রিপোর্ট এখনও আসেনি, আসলে সব কিছু আরও স্পষ্ট হবে।
দুর্গাপুরে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীর ‘গণধর্ষণের’ অভিযোগকে তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, রাজ্যে অপরাধীদের জন্য জিরো টলারেন্স নীতি নেওয়া হয়েছে।
নির্যাতিতার বাবা প্রথমে রাজ্যের পুলিশের উপর ভরসা না রাখলেও, পরে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন।
পুলিশের দাবি, ওটা গণধর্ষণ নয়। নির্যাতিতা ছাত্রীকে নিয়ে হস্টেলের বাইরে এসে সহপাঠীই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে। তবে তদন্ত চলছে। সব সত্য শীঘ্রই সামনে আসবে।
ওই রাতে ঘটনার সময় অভিযুক্ত বাকিরা তখন ওই এলাকা দিয়ে যাচ্ছিল। তারা বাধা দেওয়ায় সহপাঠী মেয়েটিকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। অভিযুক্তরা মেয়েটিকে চড়-থাপ্পড় মারে। মোবাইল কেড়ে নেয়। সহপাঠী ফিরে আসবে এই আশায় অনেকক্ষণ আটকে রাখা হয় ছাত্রীকে। অনেকক্ষণ বাদেও ছেলেটি ফিরে না আসায় তারা মেয়েটিকে ছেড়ে দেয়। এদিকে, ঐ সহপাঠী পালিয়ে গিয়ে কিছুটা দূরে মেয়েটির জন্য অপেক্ষা করছিল। কিন্তু, মেয়েটি দীর্ঘ সময় না আসায় সে তখন আবার ওই জঙ্গলে যায়, মেয়েটিকে নিয়ে হস্টেলে আসে।
আরও পড়ুন- দুর্গাপুর কাণ্ডে নয়া মোড়! অভিযুক্তদের তোলা হবে আদালতে
পুলিশ বলছে, সহপাঠী ছাড়া ওই চার অভিযুক্তের সঙ্গে ধর্ষণের কোনও সম্পর্ক নেই। পুলিশের কাছে অভিযুক্তরা জানিয়েছে, তারা ডিএনএ টেস্ট করাতে রাজি। ফরেন্সিক পরীক্ষা করা হোক।
পুলিশকে জেরায় ওই পাঁচ অভিযুক্ত জানিয়েছে, ওই বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ছেলে মেয়েরা প্রচণ্ড পরিমাণে অসভ্য, অশালীন কাজ কর্ম করে। সন্ধ্যার পর নিয়ম করে বহু পড়ুয়া ক্যাম্পাসের পিছনের জঙ্গলে যায় শারীরিকভাবে ঘনিষ্ঠ হতে। এদের কাছ থেকেই চুরি, ছিনতাই কিংবা ব্ল্যাকমেইল করে টাকা আদায় করত ওই পাঁচ অভিযুক্ত। আগামীকাল ৬ জনই আদালতে পেশ।
দেখুন আরও খবর-