ওয়েব ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের রায়ে গত ৩ এপ্রিল চাকরি গিয়েছে ২৬ হাজার জনের। তার মধ্যে বেশিরভাগই শিক্ষক শিক্ষিকা (Teachers)। কী হবে বাংলার স্কুলগুলিতে (Schools) উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছিল সংশ্লিষ্ট সমাজ। রাস্তায় নেমে পড়েন চাকরিহারা শিক্ষক শিক্ষিকারা। বিকাশ ভবনের (Bikash Bhawan) গেট ভেঙে ঢুকে পড়েন শিক্ষা দফতরের বিল্ডিংয়ে। ৯ বছর পর রাজ্যে এসএসসির নতুন নিয়োগের বিধি প্রকাশিত হল ৩০ মে, বৃহস্পতিবার। তাতে অভিজ্ঞ শিক্ষকদের জন্য বিশেষ সুবিধা দেওয়া রয়েছে। নতুন নিয়োগ বিধি প্রকাশ নিয়ে কলকাতা টিভি (Kolkatatv) আগেই খবর তুলে ধরেছিল। কী কী বদল এসেছে চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক। নতুন বিধিতে জোর দেওয়া হয়েছে শিক্ষকতার আগের অভিজ্ঞতা। এছাড়া ক্লাস নেওয়ার দক্ষতার উপরে। শিক্ষকতার অভিজ্ঞতার উপরে থাকছে ১০ নম্বর। এছাড়া আরেকটি বিষয় লেকচার ডেমনস্ট্রেশনের জন্য ১০ নম্বর রাখা হয়েছে। এই ২০ নম্বর ধার্য করা নতুন বিধিতে সংযোজিত। যা স্কুল সার্ভিস কমিশনের আগের নিয়োগ বিধিতে ছিল না। এছাড়া যে ওএমআর শিট সংরক্ষণ না করা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। এবার বলা হয়েছে ওএমআর শিটের স্ক্যান করা কপি অন্তত পক্ষে ১০ বছর সংরক্ষণ করতে হবে।
নতুন বিধিতে বলা হয়েছে লিখিত পরীক্ষা হবে ৬০ নম্বরের। তা আগে ছিল ৫৫ নম্বরের। শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়ে ধার্য নম্বরে ব্যাপক বদল হয়েছে। এর উপরে থাকবে সর্বোচ্চ ১০ নম্বর। আগে যা ছিল ৩৫ নম্বর। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে ইন্টারভিউয়ের নম্বর। থাকছে ১০ নম্বরই। ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারির হিসেবে ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত নিয়োগের জন্য আবেদন জানাতে পারবেন চাকরি প্রার্থীরা। এছাড়া তফশিলি জাতি, জনজাতি, অনগ্রসর শ্রেণির চাকরিপ্রার্থীরা রাজ্য সরকারের নিয়ম অনুসারে বয়সের ঊর্ধ্বসীমায় ছাড় পাবেন। মেধা তালিকা ও অপেক্ষমান মেধা তালিকার মেয়াদ থাকবে প্রথম কাউন্সেলিংয়ের পর থেকে এক বছর পর্যন্ত। রাজ্য সরকারের অনুমতি নিয়ে সেগুলির মেয়াদ আরও বাড়াতে পারবে কমিশন। কতদিন ওএমআর শিট সংরক্ষণ করতে হবে তাও বলা হয়েছে। প্যানেলের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর দুবছর লিখিত পরীক্ষার ওএমআর শিট সংরক্ষণ করতে হবে। পরে সেগুলি নষ্ট করা যেতে পারে। তবে ওএমআর শিটের স্ক্যান করা কপি প্যানেলের মেয়াদ শেষের পর দশ বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করতে হবে।
আরও পড়ুন: ৬ ঘন্টায় বড় পরিবর্তন নিম্নচাপের, কী জানাল হাওয়া অফিস?
একইসঙ্গে ওই নিয়োগ বিধিতে উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়ার কথাও বলা হয়েছ। উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগের জন্য টেট এখনও বাধ্যতামূলক। টেটের প্রাপ্ত নম্বরে সর্বাধিক গুরুত্ব থাকবে সর্বোচ্চ ৪০ নম্বরের। লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে ২৫ নম্বরের। ইন্টারভিউয়ের জন্য ১৫ নম্বর বরাদ্দ করা হয়েছে। এছাড়া ক্লাস নেওয়ার দক্ষতা ও শিক্ষকতার অভিজ্ঞতার উপর সর্বোচ্চ ৫ নম্বর করে বরাদ্দ।
দেখুন অন্য খবর: