কলকাতা: রাজ্য সরকারের রাজস্বের একটা বড় অংশ আসে মদ বিক্রি থেকে। উৎসবের মরশুমে মদ বিক্রির পরিমাণ অনেকটাই বাড়ে। সেইমতো দুর্গাপুজোর দিকে তাকিয়ে আগাম প্রস্তুতিও নিয়েছিল নবান্ন। পুজোর মদের দোকান ও পানশালাগুলিকে অতিরিক্ত সময় খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। দশমীতেও খোলা রাখার ছাড়পত্র মিলেছিল। যার ফল মিলল হাতেনাতে! আবগারি দফতর সূত্রে খবর, এ বছর পুজোর ৫ দিনে প্রায় ১০০ কোটির মদ বিক্রি হয়েছে।
যা এখনও পর্যন্ত রেকর্ড। এর আগের বছরগুলি ধরলে পুজোয় এ যাবত সর্বোচ্চ মদ বিক্রি হয়েছিল ২০২০ সালে। ৪৫ কোটি টাকার মদ বিক্রি হয়েছিল। এ বছর তার দ্বিগুণেরও বেশি বিক্রি হয়েছে। শুধুমাত্র নবমীতেই বিক্রি হয়েছে ২৯ কোটি টাকার মদ। মদ বিক্রির নিরিখে অন্য জেলাগুলিকে টেক্কা দিয়ে শীর্ষে রয়েছে দুই মেদিনীপুর। পুজোর পাঁচদিন অর্থাৎ ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রায় ২৮ কোটি টাকার মদ বিক্রি হয়েছে।
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মদ বিক্রি, ধৃত ৩
এ বার প্রশ্ন হল, এই ১০০ কোটি টাকার মদ বিক্রি করে কত টাকা আয় হল রাজ্যের? আবগারি দফতর সূত্রে খবর, সুরা থেকে সরকারের বিপুল আয় হয়েছে। মোটামুটি ৪০ কোটি টাকা রাজ্যের কোষাগারে ঢুকেছে। অক্টোবরের শুরু থেকে মদ বিক্রির হিসেবটার দিকে একবার চোখ বোলানো যাক। পশ্চিমবঙ্গে একমাত্র পাইকারি মদ বিক্রি করে রাজ্য সরকারের মালিকানাধীন ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট বেভারেজেস কর্পোরেশন (বেভকো)।
বেভকোর হিসেব অনুযায়ী, অক্টোবরের প্রথম ১২ দিনেই রাজ্যে মদ বিক্রি হয়েছে ৭২০ কোটি টাকার। অষ্টমী, নবমী ও দশমীতে বেভকো বন্ধ ছিল। সে কারণেই আগাম মদ কিনে মজুত করে রেখেছিল হোটেল-রেস্তরাঁ ও পানশালা মালিকরা। চতুর্থীতে রেকর্ড বিক্রি হয়েছে। ১০৯ কোটি টাকার মদ বিক্রি হয়েছে ওইদিন, একদিনের নিরিখে যা রেকর্ড। পুজোর মরশুমে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ঘরে ঢোকায় কিছুটা স্বস্তিতে অর্থ দফতরের কর্তারা।
আরও পড়ুন: মদ খেয়ে গাড়ি চালিয়ে হাজতে ভাইপো, থানায় ধরনা বিধায়ক পিসির