মালদহ: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Vote) আগে মালদহে (Mald) তৃণমূলের (Trinamool) ভাঙন। তৃণমূলের জেলা সম্পাদক ও সংখ্যালঘু সেল ও মালদহ জেলা চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম দল ছাড়লেন। কালিয়াচক ২ নম্বর ব্লক মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী মীনাক্ষী মন্ডল, জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সম্পাদক হায়দার আলী বিশ্বাস, বুথ প্রেসিডেন্ট সোহেল রানা, রাজ্যের মন্ত্রী তথা মোথাবাড়ির বিধায়ক সাবিনা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে দল ছাড়লেন নজরুল ইসলাম।
সাবিনা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে একনায়কতন্ত্র চালানোর অভিযোগ দলত্যাগ নজরুল ইসলামের। সম্প্রতি সংখ্যালঘু সেল এর জেলা সভাপতি সহ বহু পদাধিকারী গণ ইস্তফা দিয়েছিলেন। তবে তারা দল ত্যাগ করেননি। এবার দলত্যাগ করলেন সংখ্যালঘু সেলের চেয়ারম্যান সহ একাধিক পদাধিকারী। শুক্রবার মালদহ শহরে সাংবাদিক বৈঠক করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি। নজরুল ইসলাম বলেন, এই দলে থাকলে রাস্তা দিয়ে গেলে লোকে চোর চোর বলে ডাকবে। লজ্জা লাগছে এই দল করতে। কংগ্রেস আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তবে বিজেপিতে যাচ্ছি না কংগ্রেসের সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। ধর্ম নিরপেক্ষ দলেই যোগদান করব। এ নিয়ে জেলা তৃণমূলকে কটাক্ষ বিজেপির উত্তর মালদা সংগঠনিক জেলার সভাপতি উজ্জ্বল দত্তের। যদিও এই বিষয়ে তৃণমূল নেতৃত্ব প্রতিক্রিয়া দেয় নি।
আরও পড়ুন: Panchayat Election | বসিরহাটে জোর জমেছে দুই ভাইয়ের মেঠো লড়াই
এর দুদিন আগেই শাসক দলের বিরুদ্ধে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে কংগ্রেসের হাত ধরেছে ২০০-র বেশি কর্মী। ভোটের আগে মালদহে তৃণমূলের বড় ধাক্কা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। যাঁরা দল বদল করেছেন, সেই তালিকায় রয়েছেন জেলা পরিষদের বিদায়ী সদস্য মমতাজ বেগম।দলত্যাগ করা নেতাদের দাবি, টাকার বিনিময়ে টিকিট বিক্রি হয়েছে তৃণমূলে। বিশেষত টিকিট না পাওয়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মমতাজ বেগম।