ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে বৈঠক করতে নবান্নে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। সোমবার কমিশনের দুই সদস্যের প্রতিনিধি দল ডিজি বীরেন্দ্রর সঙ্গে আধঘণ্টা বৈঠক করেন। সকাল ১০টা ৫০ নাগাদ নবান্নে পৌঁছান তাঁরা।
নবান্ন সূত্রে খবর, এর আগে ভোট পরবর্তী হিংসার চিত্র দেখতে রাজ্যের বেশ কয়েকটি জায়গায় পরিদর্শনে গিয়েছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিদল। আক্রান্তদের সঙ্গে কথাও বলে কমিশনের সদস্যরা। সেই বিষয়েই সোমবার রাজ্যের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছে কমিশন।
৫ জুলাই ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস ইস্যুতে রাজ্য সরকারকে কড়া নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। নির্বাচন পরবর্তী সন্ত্রাসের জেরে যে সমস্ত মানুষ আহত হয়েছেন, তাঁদের যথাযথ চিকিৎসার ভার রাজ্য সরকারকেই নিতে হবে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের অন্তবর্তী রিপোর্টে ভিত্তিতে রাজ্য সরকারকে এই নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের ৫ সদস্যের বেঞ্চ।
কমিশনের রিপোর্টের ভিত্তিতেই ওইদিন কলকাতা পুলিশের ডিসিকে শোকজ করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। যাদবপুরে কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্যদের উপর হামলার ঘটনার প্রেক্ষিতে এই শোকজ করা হয়েছিল। হাইকোর্টের ৫ সদস্যের বেঞ্চ শুক্রবার ডিসি (এসএসবি) রশিদ মুনির খানকে শোকজ করে।
মঙ্গলবার ভোট পরবর্তী হিংসার চিত্র দেখতে যাদবপুরের নীলসঙ্ঘ এলাকায় যায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের একটি দল। তাদের সঙ্গে ঘরছাড়াদের একাংশও ছিলেন। সেইসময় কেন্দ্রীয় সদস্যদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। দু’পক্ষের হাতাহাতিও হয় বলে অভিযোগ। সেইসময় কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে লাঠিচার্জেরও অভিযোগ ওঠে।
আহত হন অন্তত ৭ জন। আহতদের বাঘাযতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কমিশনের দাবি, কিছু দুষ্কৃতী তাঁদের উপর আক্রমণ করেন। কেন্দ্রীয় বাহিনীর সহায়তায় তাঁরা নিরাপদে এলাকা ছাড়েন। তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, বিনা কারণে কমিশনের সঙ্গে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনী এলাকার মহিলাদের উপর আক্রমণ চালিয়েছে।