কৃষ্ণনগর: পঞ্চায়েতের (Panchayat) সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেও বোর্ড গড়তে পারল না তৃণমূল কংগ্রেস। ঘটনাটি কৃষ্ণনগর এক নম্বর ব্লকের রুই পুকুর গ্রাম পঞ্চায়েতের। এই পঞ্চায়েতে মোট আসন ২২ টি । ১৩ টি আসনে জেতে তৃণমূল, বিজেপি পায় ৭ টি , সিপিএম ২টি। এর মধ্যে তৃণমূলের এক জয়ী সদস্যের মৃত্যু হয়। মোট ২১ টি আসনের ভোটাভুটি হয়। বিজেপি-৭, সিপিএমের-২ ছাড়াও তৃণমূলের দুই সদস্য জোট করে বোর্ড গঠন করে। অভিনয় এই ঘটনার সাক্ষী থাকল নদিয়া।
বোর্ড গঠনের আগে তৃণমূল কংগ্রেসের থেকে প্রধান হিসাবে মনোনীত করা হয় ইনার আলি শেখকে। ভোটাভুটিতে ফলাফল দাঁড়ায় ১১ -১০। জোটে প্রধান হন তৃণমূল থেকে আসা অনুপ বিশ্বাস। উপপ্রধান হন বিজেপির সুপ্রিয়া মণ্ডল। তৃণমূলের অভিযোগ, দলের বিরুদ্ধে গিয়ে প্রধান হওয়ার জন্য বিজেপির কাছে এই দুজন তৃণমূল জয়ী সদস্য নিজেদের বিক্রি করেছেন। ঘটনাকে ঘিরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে গোটা জেলাজুড়ে।
আরও পড়ুন: ঘরে ঘরে ডেঙ্গি বনগাঁর গ্রামে, মহিলার মৃত্যু ঘিরে আতঙ্ক
এই ঘটনায় প্রধান অনুপ বিশ্বাস বলেন, আমি তৃণমূলেই আছি। গোপনে ভোট হয়েছ, যে যা মতো করে ভোট দিয়েছে। বিজেপি সমর্থন করতেই পারে, আমি তৃণমূলেই আছি। তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে তাঁকে ২ জন সমর্থন করেছেন বলে জানান অনুপ। এদিকে উপপ্রধান সুপ্রিয়া মণ্ডল বোর্ড গঠন সম্পর্কে বলেন, আমার সবাই মিলে করেছি, সিপিএম-তৃণমূল-বিজেপি।
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দফায়-দফায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় (Bhangar)। পঞ্চায়েতে বোর্ড ( Panchaya Board) গঠনে অশান্তি ছড়াতে পারে। সেই আশঙ্কায় ভাঙড়ে ১৪৪ ধারা নতুন করে জারি করা হল। মঙ্গলবার থেকে ১৩ তারিখ মধ্যরাত পর্যন্ত এই নির্দেশিকা জারি থাকবে। ওই এলাকায় কড়া পুলিশি নিরাপত্তা রয়েছে। টহল দিচ্ছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।