খগড়পুর: ৪ মাসে ৩ জন, ফের খড়্গপুর আইআইটিতে (IIT Kharagpur)পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যু। ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। রবিবার পুলিশ মহম্মদ আসিফ কামার নামে ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে। তিনি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং (Civil Engineering) এর তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। মদনমোহন মালব্য হলের এসডিএস ১৩৪ নম্বর রুমে থাকতেন। তাঁর মৃত্যু ঘিরে রহস্য দানা বেধেছে। খড়্গপুরের আইআইটিতে ৪ মাসের মধ্যে ৩ জন পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাত থেকেই আসিফের ঘরের দরজা বন্ধ ছিল। অনেক ডাকাডাকির পরও সে দরজা খোলেনি। তারপর খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। খবর পেয়ে ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ আইআইটি ক্যাম্পাসের মধ্যে আসে হিজলি ফাঁড়ির পুলিশ। ঘরের দরজা ভাঙতেই দেখা যায় ওই ঘরেই ঝুলছে ওই ছাত্রের দেহ। দেহ উদ্ধার করে পাঠানো হয় খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে। সূত্রের খবর, তাঁর বাড়ি বিহারের শিওহর জেলার গারাহিয়া গ্রামে। মহম্মদ আসিফ কামারের বাড়ি যাওয়ার কথা ছিল। পুলিশ জানতে পেরেছে তিনি দিল্লির এক তরুণীর সঙ্গে কথা বলতে বলতে আত্মহত্যা করেন। সেই তরুণী আইআইটি কর্তৃপক্ষকে খবর দেন। ইতিমধ্যেই পুলিশ ও কলেজ থেকে তাঁর বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই পরিবারের সদস্যরা খড়গপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। আসিফ কামার ছুটিতে বাড়ি যাওয়ার জন্য নিজের ব্যাগপত্র গুছিয়ে রেখেছিলেন। তার পরে হঠাৎ কেন এ সিদ্ধান্ত তা নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে।
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগেই সাসপেন্ড সামশেরগঞ্জের ওসি-এসআই
গত চার মাসে তিনজন মেধাবী পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যু হল। চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি (রবিবার)-র পর ২১ এপ্রিল (রবিবার); আর তারপর আজ ৪ মে (রবিবার)! ফের আইআইটি খড়্গপুরের মেধাবী ছাত্রের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে ব্যাপক শোরগোল জেলা ও রাজ্য জুড়ে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ‘আত্মহত্যা’ হলেও, ঘটনার সরেজমিনে তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশের এক আধিকারিক।
অন্য খবর দেখুন