মুর্শিদাবাদ: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরোধ না রেখে মুর্শিদাবাদ গিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজ্যপালের সামনেই উঠল ‘জাস্টিস’ স্লোগান। মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সামশেরগঞ্জের জাফরাবাদের অশান্ত এলাকার পরিদর্শনে জাতীয় মহিলা কমিশনের (National Commission For Women) সদস্যরা। মহিলা কমিশনারের সামনে কান্না ভেঙে পড়লেন আক্রান্ত স্থানীয় বাসিন্দারা। শনিবার স্থানীয় মহিলারা কমিশনকে সামনে পেয়ে কান্না ভেজা গলায় তাদের উপর হওয়া অত্যাচার, বাড়ি ঘর ভাঙচুর, লুটপাটের কথা শোনান শোনান। তাঁরা বলেন, চিন্তায়, আতঙ্কে ঘুমাতে পারছি না। জনসাধারণের কথা শুনে মহিলা কমিশনের সদস্যরা জানান, পশ্চিমবাংলার বুকে এটা লজ্জা জনক ঘটনা, এই ঘটনা কাম্য নয়।
শুক্রবার প্রথমে বহরমপুরে যান মহিলা কমিশনের ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল। সেখান থেকে তাঁরা যান মালদায়। অশান্তির পর অনেকেই প্রাণ বাঁচাতে মালদহে পালিয়ে গিয়ে আশ্রয় নিয়েচ্ছেন। সেখানে তাঁদের সঙ্গে কথাও বলেন। এরপর শনিবার কমিশনের প্রতিনিধি দল যান মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ানে। মুর্শিদাবাদের অশান্ত এলাকায় যান জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যরা। সেখানকার স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন। অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে আতঙ্কে মহিলা কমিশনের সামনে কেঁদে ওঠেন স্থানীয় মহিলারা। জাফরাবাদ, বেতবুনিয়া, রানিপুরের অধিকাংশ বাড়িতেই আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছিল। এ দিন কমিশনের চেয়ারপার্সন বিজয়া রোহতকার সেই সব বাড়িতে যান। বাড়ির ভিতরে ঢুকে দেখেন। তাঁদের দেখে মহিলারা বলেন, অনেক কষ্ট করে বাড়ি তৈরি করেছিলেন। সব পুড়িয়ে শেষ কর দিয়েছে। আবার কেউ কেউ জানিয়েছেন তাঁদের টাকা লুঠ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:‘শিল্পের নতুন গন্তব্য বাংলা’ কী বললেন মমতা?
মহিলা কমিশনের সদস্যদের দেখে প্ল্য়াকার্ড, পোস্টার হাতে জড়ো হন স্থানীয়রা। জাফরাবাদে বাবা-ছেলে খুনের বিচারের দাবিও তোলেন তাঁরা। কশিনের কাছে তাঁদের দাবি, ‘গ্রামে বিএসএফের স্থায়ী ক্যাম্প চাই। না হলে সমস্যার সমাধান হবে না।’ কমিশনের সদস্যরা সাধারণ বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করেন। এলাকা ঘুরে দেখে কমিশনের চেয়ারপার্সন বিজয়া বলেন, ‘পরিস্থিতি গুরুতর।’ দিল্লি ফিরে কমিশন এই বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট দেবে বলে জানা গিয়েছে।
অন্য খবর দেখুন