মালদহ: বহরমপুরে কলেজ ছাত্রী খুনে অভিযুক্ত সুশান্ত চৌধুরীর ২ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। শনিবার সুশান্তকে বহরমপুর জেলা আদালতে তোলা হয়। ভারপ্রাপ্ত সিজেএম সুমনা সাহা রায় জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১৬ মে।
প্রথম দফায় বিচারক সুশান্তের দশ দিনের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিলেন। দশ দিনের রিমান্ড শেষ হওয়ার পর গত ১২ তারিখে তাকে ফের আদালতে পেশ করা হয়েছিল। সেদিন সুশান্তের দু’দিনের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই হেফাজতের সময়সীমা শেষ হওয়ার পর আজ তাকে ফের আদালতে পেশ করা হয়। বহরমপুর বার অ্যাসোসিয়েশনের আইনজীবী অলকেশ পাল সুশান্তর হয়ে জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু বিচারক সুমনা সাহা রায় সেই আবেদন খারিজ করে দিয়ে দু’দিনের জন্য সুশান্তর জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
২ মে রাতে বহরমপুরের গোরাবাজারে খুন হন বহরমপুর গার্লস কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী সুতপা চৌধুরী। তিনি স্থানীয় একটি মেসে থেকে পড়াশোনা করতেন। তাঁর সঙ্গে ধৃত সুশান্তর প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে পুলিস জানতে পারে। সম্প্রতি কোনও কারণে দুজনের মধ্যে মনোমালিন্য ঘটার জেরে ওই ঘটনা। পুলিস সূত্রের খবর, ওই রাতে স্থানীয় বেশ কয়েকজন যুবক দূর থেকে সুতপাকে কোপাতে দেখেন। দু-একজন কাছে যাওয়ার চেষ্টাও করেন। কিন্তু তাদের হুমকি দেয় সুশান্ত।
আরও পড়ুন: Biplab Deb: তীব্র গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই সরতে হল ত্রিপুরার বিপ্লব দেবকে
সেই ভয়ে তাঁরা পিছিয়ে আসেন। সুতপাকে বারবার ছুরি দিয়ে কুপিয়েছে সে। এমনকি রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁর পেটে একাধিকবার লাথিও মেরেছে। সুশান্ত পকেট থেকে মোবাইল বের করে তা ঘাঁটতে ঘাঁটতে একটা পাঁচিল টপকে পালায়। স্থানীয় কয়েকজনই দূর থেকে গোটা ঘটনার একটি ভিডিয়ো করে। তাতেই ওই নৃশংস দৃশ্য দেখা গিয়েছে।