মালদহ: মিজোরামের নির্মীয়মান ব্রিজ ভেঙে (Mizoram Bridge Collapse) মালদহ বহু শ্রমিকের মৃত্যু। জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, ওই দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৮ জন মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। তারমধ্যে ১৫ জনই মালদহ রতুয়া ২ ব্লকের পুকুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা। আরও মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আরও অনেকেই এখনও আটকে ভেঙে পড়া ব্রিজের নিচে। তবে উদ্ধার কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই সংখ্যা পরিস্কার বলা সম্ভব হচ্ছে না প্রশাসনের তরফেও। এনডিআরএফ, রাজ্য প্রশাসন এবং রেলের আধিকারিকরা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন। যে ব্রিজ গার্ডার প্রক্রিয়াটি আইআইটি বিশেষজ্ঞদের দ্বারা যথাযথভাবে অনুমোদিত হয়েছিল। বিষয়টি তদন্তের জন্য উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
দুর্ঘটনায় শোকপ্রকাশ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লিখেছেন, মৃতদের মধ্যে অনেকেই মালদার বাসিন্দা। মিজোরাম প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দিয়েছি। নিহত ও আহতদের পরিবারের পাশে থাকার জন্য মালদা জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: মালদহে বিএসএফ-এর গুলিতে যুবকের মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা
স্থানীয় সূত্রের খবর, মালদহের রতুয়া ২ ব্লকের পুখুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বিভিন্ন গ্রাম থেকে পরিযায়ী শ্রমিকরা বিভিন্ন প্রান্তে কাজ করতে যান। প্রায় কুড়ি জন এই এলাকা থেকে মিজোরামে এই ব্রিজ নির্মাণ কাজে গিয়েছিলেন বলে জানা যাচ্ছে । তবে ১৫ জনের এই গ্রামেরই মৃত্যুর হয়েছে বলে জানাচ্ছেন স্থানীয়রা। পাশাপাশি জেলার অন্যান্য প্রান্ত থেকেও আরও কয়েকজনের মৃত্যুর হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা যাচ্ছে। বুধবার মিজোরামে নির্মীয়মান ব্রিজ ভেঙে পড়ে। সেই সময় বহু শ্রমিক সে ব্রিজ নির্মাণ কাজে যুক্ত ছিলেন। ঘটনার পর থেকে উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে। পুখুরিয়ায় এই এলাকার পরিবার গুলোর সঙ্গে দেখা করতে জেলা প্রশাসনিক আধিকারিক থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা পৌঁছেছেন।
ভয়াবহ দুর্ঘটনায় একই এলাকা থেকে এত সংখ্যক শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। উদ্ধার কাজ শেষ হওয়ার পরই মৃতের সংখ্যা স্পষ্ট হবে এমনটাই জানা যাচ্ছে প্রশাসন সূত্রে। ঘটনা স্থলে পৌঁছে পরিবারগুলোর সাথে দেখা করেন অতিরিক্ত জেলা শাসক বৈভব চৌধুরী।তিনি জানিয়েছেন, গোটা বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ মতো দেহ আনতে যা যা ব্যবস্থা প্রয়োজন তা গ্রহণ করা হচ্ছে। আমাদের জেলাশাসক মিজোরামের ও এলাকার জেলাশাসকের সাথে কথা বলেছেন। ১৮ জনের সনাক্ত করা হয়েছে তবে উদ্ধার কাজ শেষ হলে সম্পূর্ণ তথ্য বলা যাবে