কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে টানাপড়েন চলছেই। আগের ২২ কোম্পানি ছাড়া আরও যে ৩১৫ কোম্পানি চাওয়া হয়েছে, তাদের কোথায় কীভাবে ব্যবহার করা হবে, এবার তা জানতে চেয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এই ৩৩৭ কোম্পানির বাইরে আরও ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে কমিশন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে চিঠি দিয়েছে। সেই চিঠির জবাবেই কেন্দ্র পাল্টা চিঠি দিয়েছে কমিশনকে। মন্ত্রকের বক্তব্য, ৩১৫ কোম্পানি বাহিনী কোথায়, কবে থেকে কীভাবে ব্যবহার করা হবে, তা আগে জানাক নির্বাচন কমিশন।
সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় সরকার ৩১৫ কোম্পানি বাহিনী পাঠাতে সম্মত হয়েছে। তবে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট নোডাল অফিসার জানেন না বলে রবিবার পর্যন্ত ওই বাহিনী ভিনরাজ্যেই আটকে রয়েছে। শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত বিএসএফ এবং সিআইএসএফ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করার পরেও কমিশন ঠিক করে উঠতে পারেনি, ওই বাহিনী কোথায় কোথায় পাঠানো হবে কিংবা জওয়ানদের কোথায়, কীভাবে ব্যবহার করা হবে।
আরও পড়ুন: Panchayat Election 2023 | Governor | ভোটে যেখানে অশান্তি হবে, সেখানেই যাব, বিস্ফোরক রাজ্যপাল
এদিকে সোমবার কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে কমিশনের কর্তারা বিএসএফ এবং সিআইএসএফ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। এই বৈঠকেই বাহিনী মোতায়েনের বিষয়টি চূড়ান্ত হতে পারে বলে কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের ব্যাপারে কমিশনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে চলবেন বিএসএফের আইজি এস সি বুধাকুটির।
এদিনই মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন। পঞ্চায়েত ভোট ঘিরে যাতে কোথাও কোনও অশান্তি না হয়, তার দিকে সতর্ক নজর দিতে বলা হয়েছে জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারদের। ২৯ জুলাই ইদও রয়েছে। তার জন্য বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে।
এরই পাশাপাশি বিভিন্ন বিরোধী দল এদিনও দফাওয়ারি ভোট করার দাবি জানিয়েছে। আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী এই দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। আদালতে তাঁর আবেদন, পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী না পাওয়া গেলে ভোটের দফা বাড়ানো হোক। চলতি সপ্তাহেই নওশাদের মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা।
বিজেপি, কংগ্রেস এবং বিজেপির অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন প্রহসন শুরু করেছে। বিরোধী নেতারা বলেন, কমিশন ভালো করেই জানে, এক লপ্তে ৮০০ বাহিনী দেওয়া কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়। তা জেনেও তারা নাটক করছে। বিরোধীদের অভিযোগ, আসলে কমিশন এবং রাজ্য সরকার শান্তিপূর্ণ ও অবাধ পঞ্চায়েত ভোট চায় না বলেই নানা টালবাহানা করা হচ্ছে।