মেদিনীপুর: প্রসূতি মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তাল মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল (Medinipur Medical Hospital)। অভিযোগ চিকিৎসার গাফিলতিতে মৃত্যু হয়েছে প্রসূতির। অভিযোগ, স্যালাইনে বিভ্রাটের জেরে মৃত্যপ হয়েছে ওই প্রসূতির। আশঙ্কাজনক আরও চার প্রসূতি। পরিবারের অভিযোগ, সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর থেকে প্রসূতিদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। প্রস্রাবের সঙ্গে রক্তপাত শুরু হয়। স্যালাইনেই কোনও সমস্যা ছিল। তারপরই মৃত্যু হয় ওই প্রসূতির।
উল্লেখ্য বৃহস্পতিবার থেকেই অভিযোগ উঠে ছিল ৫ প্রস্তুতিকে মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইনে (Expired Saline) দেওয়া হয়েছে। এর জেরেই শুক্রবার সকালে একজন প্রস্তুতির মৃত্যু হয়। চার প্রসূতির অবস্থা আশঙ্কাজনক। অনেকের অভিযোগ ছত্রাক ছিল স্যালাইনের ভিতরেই। আবার কেউ বলছেন, মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন দেওয়া হয়েছে। মুখে কুলুপ এঁটেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের গাফিলতির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখায় মৃতার পরিবার। মৃত্যুর আসল কারণ কী, তা এখনও স্পষ্ট নয়। রিপোর্ট না আসার পর স্পষ্ট হবে না।
আরও পড়ুন: দুলাল সরকার খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারিকে বহিষ্কার করল TMC
চন্দ্রকোনা রোডের বাসিন্দা দেবাশীষ রুইদাসের স্ত্রী মামনি রুইদাস মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে ভর্তি ছিলেন। এক পুত্র সন্তানকে জন্ম দেন তিনি। কিন্তু সন্তান প্রসবের পর থেকে মামনির শরীর থেকে ব্লিডিং হতে থাকে বলে অভিযোগ তার পরিবারের। এরপর মৃত্যু হয় মামনির। তাদের অভিযোগ চিকিৎসার গাফিলতিতে মৃত্যু হয়েছে মামনি রুইদাসের। পাশাপাশি জুনিয়র চিকিৎসকদের বিরুদ্ধেও অভিযোগের আঙুল তোলেন তারা। চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন মৃত মামনি রুইদাসের পরিবারের সদস্যরা। তাদের অভিযোগ হাসপাতালের ভেতর দুর্নীতি চলছে। হাজার হাজার টাকা দাবি করা হচ্ছে। তারা বলেন ভুল চিকিৎসা করা হয়েছে, ত্রুটিযুক্ত স্যালাইন দেওয়া হয় বলে দাবি তাদের। রিবারের এক সদস্য দাবি করেছেন, অপারেশন করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা, সিনিয়র কেউ সেখানে ছিলেন না।
অন্য খবর দেখুন