কলকাতা: বাংলায় আগে হয়নি, ঐতিহাসিক প্রকল্প’। শালবনিতে জিন্দল গোষ্ঠীর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের (Jindal Power Plant) শিলান্যাস করে বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ৮০০ মেগাওয়াটের দুটি ইউনিটের জন্য ১৬ হাজার কোটি টাকার লগ্নি করছে জিন্দল গোষ্ঠী। সোমবার তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের শিলান্যাস করে মুখ্যমন্ত্রী বললেন, শুধু এই প্রকল্পে সবমিলিয়ে ১৫ হাজার মানুষের কাজ হবে। শালবনিতে তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের শিলান্যাস করতে করলেন মুখ্যমন্ত্রী। মঞ্চে তাঁর সঙ্গে ছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, সজ্জন জিন্দল এবং তাঁর পুত্র পার্থ জিন্দল। শালবনির তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে গোটা রাজ্যেরই সার্বিক উন্নয়ন হবে, বললেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন দেব বলেন, যাঁরা বলতে থাকেন, বাংলার উন্নতি হচ্ছে না, তাঁরা এসে দেখে যান, কী ভাবে বাংলার উন্নতিতে কাজ করে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শালবনিতে তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের শিলান্যাস করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা এবং সজ্জন জিন্দল। শিলান্যাস হল ২০০০ একরের শিল্প পার্কেরও। মুখ্যমন্ত্রী জানান, “এখানে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হলে ২৩টি জেলার মানুষ বিদ্যুৎ পাবে। ১৫ হাজারের বেশি কর্মসংস্থান হবে। বিদ্যুতের আর কোনও সমস্যা হবে না। ২৪ ঘণ্টাই পরিষেবা মিলবে। আমার বিদ্যুৎ কিনব। ওদের পরিকল্পনা রয়েছে আরও দুটি ইউনিট খোলার। এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে বামফ্রন্ট সরকারকে বিঁধলেন মমতা। তিনি বলেন, আগে লোকে বলত লোডশেডিংয়ের সরকার, আর নেই দরকার। এই প্রকল্পের কারণে পরবর্তী ১০০ বছর বিদ্যুতের সমস্যা হবে না রাজ্যে’।
আরও পড়ুন: আচার্য সদনে ঢোকার চেষ্টা চাকরিহারাদের, ধুন্ধুমার কাণ্ড, দেখুন কী অবস্থা
অনুষ্ঠানে সজ্জন জিন্দল বলেন, ‘‘শালবনিতে গত ১০ বছরে অনেক উন্নতি হয়েছে। দেখে মনে হয়, এখানকার জমি কৃষকদের। তাই তাঁরা যাতে উপকৃত হন, সেটা আমাদের দেখতে হবে। জিন্দল আরও বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের উন্নতিতে দিদি অনেক কাজ করছেন। দিদিও কৃষকদের কথা সবসময় বলেন। কৃষকরা যাতে উপকৃত হন আমাকে সে কথা বার বার বলেছেন। এই তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে কোনও দূষণ হবে না, এটা আমরা নিশ্চিত করব। এই রাজ্যে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে। তা মাথায় রেখেই এই তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র।
শালবনির পর রাজ্যে আগামী দিনে শিল্পের ক্ষেত্রে কী কী পরিবর্তন হতে চলেছে সে নিয়ে মমংতা বলেন, রাজ্যে ৬টি ইকোনমিক করিডোর তৈরি হয়েছে। ডেউচা-পাঁচামিতে বিশাল কোল ব্লক তৈরি হচ্ছে। সেখানে ১ লক্ষ কর্মসংস্থান হবে। অন্যদিকে আগামী ৩০ তারিখ দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন হবে। পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরে পাঁচটি বড় কোম্পানি বিনিয়োগ করবে। ফলে আগামী কয়েক বছরে প্রচুর মানুষ কাজ পেতে চলেছেন বলে আশ্বাস দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দেখুন ভিডিও