মালবাজারে হড়পা বানে নিহতদের পরিবারপিছু একজনকে চাকরির নিয়োগপত্র দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার মালবাজারে সংক্ষিপ্ত প্রশাসনিক বৈঠকে তাঁদের হাতে নিয়োগপত্র দেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে দশমীর দিন যাঁরা ভেসে যাওয়া মানুষকে উদ্ধার করতে জীবন বাজি রেখে মাল নদীতে ঝাঁপ দিয়েছিলেন এবং অনেককে বাঁচিয়েছেন, তাঁদের সকলকে এক লক্ষ টাকার চেক দেওয়া হয় সভা থেকে। মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের চাকরির অফারও দিয়ে বলেন, ইচ্ছে থাকলে তাঁরা চাকরি করতে পারেন। সেইমতো ব্যবস্থা করা হবে।
এদিন নিহতদের পরিবারের লোকজন হাজির ছিলেন। ছিলেন উদ্ধারকারীরাও। মাল আদর্শ বিদ্যাভবনে প্রশাসনিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত বৈঠকটি আর হয়ে ওঠেনি। সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানের পর মুখ্যমন্ত্রী শিলিগুড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। এদিকে তরিফুল ইসলাম এবং ফরিদুল ইসলাম নামে দুই যুবক আদর্শ বিদ্যাভবনের অনুষ্ঠানে তাঁদের না ডাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাঁদের দাবি, ঘটনার দিন তাঁরা মামা-ভাগ্নে মিলে আর সকলের সঙ্গে নদীতে ঝাঁপ দেন। বেশ কয়েকজনকে তাঁরা উদ্ধার করেন। পরে বিভিন্ন সংগঠন তাঁদের সংবর্ধনা দেয়। মন্ত্রী বুলুচিক বরাইকও ওই দুজনের প্রশংসা করেন। কিন্তু এদিন তাঁদের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তরিফুলের অভিযোগ, এ নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সামসেরগঞ্জে গঙ্গাগর্ভে তলিয়ে গেল আস্ত তিনতলা বাড়ি, বিক্ষোভে সিপিএম
প্রসঙ্গত, দশমীর দিন মাল নদীতে বিসর্জনের আয়োজন করা হয়েছিল। আচমকাই হড়পা বান আসায় প্রচুর মানুষ ভেসে যান। স্থানীয়রা উদ্ধারকাজে নেমে পড়েন। বহু মানুষকে উদ্ধার করা হয়। তবে আটজনের মৃত্যু হয়। তারপরেই রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকার নিহতদের পরিবারপিছু ২ লক্ষ টাকা করে এবং জখমদের পরিবারপিছু ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়।
মুখ্যমন্ত্রী সোমবার উত্তরবঙ্গে যান। মঙ্গলবার তাঁর নিহতদের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল। কিন্তু সোমবার মালবাজারে নেমেই তিনি সোজা মৃতদের বাড়িতে ছুটে যান। পরিবারের সকলের সঙ্গে কথা বলেন, পাশে থাকার বার্তা দেন।