কলকাতা: বাংলায় ক্ষমতা দখলের জন্য কী করেনি? কুৎসা, অপপ্রচার ছাড়াও ডিআইজি-আইসি চেঞ্জ করা হয়েছে। কোনও কিছুই বাকি রাখা হয়নি। অনেক জায়গায় ভিভিপ্যাট গোনা হয়নি। আমি হলফ করে বলতে পারি, নির্বাচন কমিশন মদত না দিলে বিজেপি ৩০টি আসনও পেত না। মঙ্গলবার বিধানসভায় দাঁড়িয়ে এই মন্তব্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: ক্যারাটেকা তরুণীর রহস্য মৃত্যুর তদন্তে গোয়েন্দা বিভাগ
রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ইস্যুতেও বিধানসভায় মুখ খোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম না করে বিজেপিকে একহাত নেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ৫ তারিখে পর থেকে আমি দায়িত্ব নিয়েছি। অনেকে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন তুলছেন। অতো সহজ নয় প্রশাসন চালানো। বন্দুকের গোলার সামনে দাঁড় করিয়ে নির্বাচন করিয়েছে। বাংলার মানুষ দেখিয়ে দিয়েছে, বাংলার মানুষের মেরুদন্ড কেউ ভাঙতে পারে না।
ভ্যাকসিন ইস্যুতেও সুর চড়ান মমতা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মিথ্যা বলতে লজ্জা লাগে না? অনেক ভ্যাকসিন আমাদের কিনতে হয়েছে। আমরা ২ কোটি ২৫ লক্ষ ভ্যাকসিন কিনেছি। অন্যান্য রাজ্যকে ৩ কোটি, সাড়ে ৩ কোটি ভ্যাকসিন দিয়েছে। আমাদের দেয়নি। সাধারণ মানুষকে এ জন্য হয়রানি পোহাতে হচ্ছে। ৮ দফায় কখনও নির্বাচন হয়নি। আমরা কেবল বলেছি, খেলা হবে ও জয় বাংলা। খুবই দ্রুতই খেলা হবে দিবস হবে।
আরও পড়ুন: বরাকরের ঘটনায় সাসপেন্ড দুই পুলিশ আধিকারিক
বিধানসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সবুজ সাথী, কৃষক ভাতা, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, বেকার ভাতা-সহ একাধিক প্রকল্পের কথা উল্লেখ করেন। শিল্প ইস্যুতেও মুখ খোলেন মমতা। তিনি বলেন, পুরুলিয়ায় ৭২ কোটি টাকা বিনিয়োগে হবে ফ্রেট করিডোর শিল্প। পৃথক রাজ্য ইস্যুতেও নাম না করে বিজেপিকে তোপ দাগেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যারা উত্তরবঙ্গ ভাগ করার চেষ্টা করে লাড্ডু খেয়ে যাচ্ছেন, তারা জেনে রাখুন- বাংলায় একটাই লাড্ডু পাবেন, নারকেল নাড়ু। বাংলাকে ভাগ করতে দিচ্ছি না।
নির্বাচন পরবর্তী হিংসার ইস্যুতেও বিজেপিকে দায়ী করেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতার অভিযোগ, নির্বাচনে আগে ও পরে বিজেপি সোশ্যাল মিডিয়ায় ফেক ডিডিও প্রকাশ করে বাংলায় হিংসা চালানোর চেষ্টা করেছে। অন্য রাজ্যের ভিডিও নিয়ে বাংলার বলে চালানোর চেষ্টা হয়েছে। এ নিয়ে ৯৩ কেস রেজিস্টার হয়েছে। ৪৭৭টি অ্যাকাউন্ট ব্লক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বকেয়া বিদ্যুৎ বিল আদায় তৎপর হল রাজ্য সরকার
কেন্দ্রীয় সরকারকেও কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতার কথায়, মোদি-অমিত শাহরা জঙ্গলের রাজত্ব চালাচ্ছে। জঙ্গলের রাজত্ব চলছে। বাংলা চমকানি-ধমকানিতে ভয় পায় না। যাদের শোনার মানসিকতা থাকে না, তাদের বলি ধিক্কার, ধিক্কার, ধিক্কার। আমি সব সহ্য করতে পারি। আমাদের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। আমি প্রতিবাদি।