কলকাতা, ২০ এপ্রিল : মধুরেণ সমাপয়েৎ!
বলা চলে কি ?
বুধবারের বারবেলায় মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের শেষ পর্ব । খোঁচা থেকে বাদ গেলেন না রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় ।
একটু খোলসা করা যাক ।
সূচনা হল দুই দিনের বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের । প্রারম্ভিক ভাষণে, নিজের চেনা গণ্ডি থেকে অনেক দূরে তখন রাজ্যপাল । একের পর এক বাংলার প্রশংসা করে চলেছেন । তাঁর প্রশংসা শুনে মুখ ক্রমেই উজ্জ্বল হয়ে উঠছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের । মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়েও তখন পঞ্চমুখ রাজ্যপাল ।
পরবর্তীতে একের পর এক শিল্পপতিরা বাংলা-বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করছেন । ঠিক যেমনটি চেয়েছিলেন তিনি, মঞ্চে বসে চুপটি করে সব শুনলেন মমতা ।
এবার তিনি বক্তা । প্রথমেই রাজ্যপালকে ধন্যবাদ, আজ উপস্থিত থাকার জন্য । এ যেন মাস্টার স্ট্রোক । একে একে বাংলার সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরলেন । শিল্পপতিদের ধন্যবাদ জানালেন । শ্রোতার আসনে তখন রাজ্যপাল । মুখ্যমন্ত্রীর মুখে তাঁর প্রশংসা শুনে তিনিও ছোট্ট শিশুটির মতো হাসিতে ডগমগ । বক্তব্যের একে বারে শেষ ভাগ । ব্রহ্মাস্ত্রটি যেন সে সময়ের জন্যই রেখেছিলেন তিনি । রাজ্যপালকে বললেন, কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে সব সহযোগিতা করে কাজ করতে আমরা আগ্রহী । কিন্তু, দেখবেন কোনও এজেন্সি লাগিয়ে যেন বাংলার অগ্রগতিকে যেন আটকে দেওয়ার চেষ্টা করা না হয় । যেন বাংলার অগ্রগতি রোখার চেষ্টা না করা হয় । বিষয়টি যেন রাজ্যপালদের সম্মেলনে তুলে ধরেন, সেই অনুরোধও ধনখড়ের কাছে করেন মমতা।
ক্ষণিকের জন্য তখন রাজ্যপাল কি চমকে গিয়েছিলেন ? বোঝা গেল না । পরে নিজ আসনে ফিরে আসার পরও মমতার সঙ্গে হাসির বিনিময় করতে দেখা গেল তাঁকে । কিন্তু, তিনি কি অপমানিত হলেন ? সে প্রশ্ন থেকেই গেল ।