কলকাতা: তৃণমূলের রাজ্য কমিটি ঘোষণা করলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার নজরুল মঞ্চের অনুষ্ঠান থেকে কমিটির পদাধিকারীদের নাম জানান তৃণমূল সুপ্রিমো। রাজ্য কমিটিতে তেমন চমক না থাকলেও এদিন ৫ জেলার তৃণমূলের সভাপতিকে সরিয়ে দিয়েছে জোড়াফুল শিবির। ছাত্র সংগঠনেও কিছু বদল এসেছে। ফের দলের মহাসচিব হলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন সুব্রত বক্সি।
তৃণমূলের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটিতে রয়েছেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সি, অরূপ বিশ্বাস, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, ফিরহাদ হাকিম, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়। প্রেস কমিটিতে রয়েছেন কুণাল ঘোষ, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, অরূপ বিশ্বাস, ডেরেক ও’ব্রায়েন, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সুখেন্দুশেখর রায়। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের চেয়ারম্যান করা হয়েছে জয়া দত্তকে। ফের একবার টিএমসিপির রাজ্য সভাপতি হয়েছেন তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য।
সহ-সভাপতি করা হয়েছে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র, বিধায়ক তাপস রায়কে। রাজ্যের মহিলা সভাপতি পদে আনা হয়েছে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে। রাজ্য কমিটির সহ-সভাপতি হয়েছেন সৌগত রায়, ব্রাত্য বসু, দীপক অধিকারী (দেব), শতাব্দী রায়, আবদুল করিম, ডেরেক ও’ব্রায়েন-সহ অন্যান্যরা। সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে ফিরহাদ হাকিম, কুণাল ঘোষ, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, শশী পাঁজা, প্রতিমা মণ্ডল, কৃষ্ণ কল্যাণী, রবি টুডু, তন্ময় ঘোষ ও অন্যান্যদের।
সাংস্কৃতিক কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে রাজ চক্রবর্তীকে। তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি হয়েছেন তুষার মণ্ডল। চেয়ারম্যান করা হয়েছে সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রকে। কোচবিহার জেলার সভাপতি করা হয়েছে প্রাক্তন সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়কে। নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পদে নিয়ে আসা হয়েছে নাকাশিপাড়ার ৬ বারের বিধায়ক, খাদি বোর্ডের চেয়ারম্যান কল্লোল খাঁকে।
বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতিও বদল করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই জেলায় গত বিধানসভা নির্বাচনে খারাপ ফল হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের। আলোরানি সরকারের বদলে সভাপতি করা হয়েছে প্রাক্তন বিধায়ক গোপাল শেঠকে। উত্তর কলকাতার সভাপতি করা হয়েছে লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ওই পদে থাকা তাপস রায়কে রাজ্য কমিটির সহ সভাপতি করেছেন মমতা।