কলকাতা: হাঁসখালিতে নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে খুনের মামলায় (Hanskhali Rape and Murder Case) সাজা ঘোষণা করল রানাঘাটের (Ranaghat) বিশেষ পকসো আদালত। মঙ্গলবার আদালত জানায়, দোষী সাব্যস্ত ৯ জনের মধ্যে ৩ জনকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন এক তৃণমূল (Tmc) নেতার ছেলে-সহ তিন অভিযুক্ত। অন্যদিকে, একজন অভিযুক্তকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এর আগে সোমবার এই মামলায় ৯ জনকেই দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। মঙ্গলবার বিচারক সৌমেন গুপ্তর এজলাসে সাজা ঘোষণা হয়। রায় ঘোষণার সময় আদালতে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়
আরও পড়ুন: দীপু দাস হত্যার প্রতিবাদে কলকাতায় মিছিল
২০২২ সালের ৪ এপ্রিল নদিয়ার হাঁসখালির একটি গ্রামে জন্মদিনের পার্টির নাম করে ১৪ বছরের এক নাবালিকাকে মদ খাইয়ে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। গুরুতর রক্তক্ষরণে পরদিন ভোরে বাড়িতেই তার মৃত্যু হয়। অভিযোগ ওঠে, মৃত্যুর পর কোনও চিকিৎসকের শংসাপত্র ছাড়াই তড়িঘড়ি দেহ দাহ করা হয় স্থানীয় এক অ-নথিভুক্ত শ্মশানে। শাসক দলের প্রভাবশালীদের চাপেই এমনটা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে।
ঘটনার চার দিন পর নির্যাতিতার মা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। প্রথমে রাজ্য পুলিশ তদন্ত শুরু করলেও পরে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ১৪ এপ্রিল মামলার তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। সিবিআই ৮৫ দিনের মধ্যে ২০৯ পাতার চার্জশিট জমা দেয়।
দীর্ঘ তদন্ত ও বিচারপ্রক্রিয়া শেষে তিন বছর আট মাস ন’দিন পর আদালতের এই রায়। গোটা রাজ্যজুড়ে আলোড়ন ফেলা এই মামলায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। আদালতের রায়ে ন্যায়বিচারের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় সম্পন্ন হল বলে মত আইনজীবী মহলের। তবে এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন অভিযুক্তদের আইনজীবীরা।