কলকাতা: মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষার পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর ঠিক না ভুল, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। ২৩ অগস্টের মধ্যে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনকে এই ব্যাপারে বিস্তারিত রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এই মামলার আইনজীবী আলি আহসান আলমগির জানিয়েছেন, ২০১৩ সালে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন শারীর শিক্ষা বিষয়ে পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি জারি করে। কিন্তু বিভিন্ন আইনি জটিলতায় সেই পরীক্ষা শেষ পর্যন্ত নেওয়া হয় ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে। অগস্টে ফল প্রকাশিত হয়।
পরীক্ষায় অন্তত পাঁচটি প্রশ্ন-উত্তরে গন্ডগোল রয়েছে বলে দাবি মামলাকারীদের। বেশ কিছু চাকরিপ্রার্থী আরটিআই করে জানতে পারেন, ২-৩ নম্বর কম থাকায় তাঁরা অকৃতকার্য হয়েছেন। কমিশন তাদের ভুল সংশোধন করে ওই প্রার্থীরা সুযোগ পেতে পারেন বলে জানান আইনজীবী। তার পরই চাকরি প্রার্থী জিয়ারুল হক সহ বেশ কয়েকজন হাইকোর্টের আবেদন জানান। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে মামলা দায়ের হয়। মামলার শুনানিতে কমিশনের আইনজীবী দাবি করেন, শারীরশিক্ষা বিষয়ের প্রশ্ন-উত্তরে কোনও ভুল ছিলনা।
আদালতে তিনি জানান, তাঁরা বিশেষজ্ঞদের দিয়ে প্রশ্ন যাচাই করেছিল। একই সঙ্গে সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশ উল্লেখ করে বলেন, এইভাবে মামলা করা যায় না। মামলাকারীদের দাবি, তাঁরা একাধিক রেফারেন্স বই থেকে দেখিয়েছেন প্রশ্ন-উত্তরে বিভ্রান্তি ছিল। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মামলাটি শোনার পর মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের আইনজীবীকে নির্দেশ দিয়েছেন, কবে কোন বিশেষজ্ঞ কমিটি এই প্রশ্নগুলি খতিয়ে দেখে জানিয়েছিল এবং জানিয়েছিল কোথাও ভুল নেই, সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট ২৩ অগস্টের মধ্যে হাইকোর্টে জমা দিতে হবে।