নয়াদিল্লি: লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Elections 2024) ঘন্টা বেজে গেছে। জনগর্জন সভা থেকে কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী (TMC Candidate) হিসাবে মহুয়া মৈত্রর নামও ঘোষণা করা হয়ে গেছে। এইসবের মাঝে বড় বিপাকে পড়লেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থী ও বহিষ্কৃত সাংসদে মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)। টাকার বদলে প্রশ্ন মামলায় মহুয়ার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিলেন লোকপাল।
আরও পড়ুন: কারার ওই লৌহকপাট, ভেঙে ফেল কর রে লোপাট (পর্ব ২৫)
বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবের অভিযোগের ভিত্তিতে তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে তদন্তের ভার দিলেন লোকপাল। নিশিকান্তর অভিযোগ ছিল, জাতীয় সুরক্ষা বন্ধক রেখে দুর্নীতি করেছেন মহুয়া। তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হওয়া উচিত। সেই অভিযোগকে কার্যত মান্যতা দিয়ে লোকপাল তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিলেন। আগামী ৬ মাসের মধ্যে সিবিআইকে এই মামলায় প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিতে হবে। বরখাস্ত তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকে গুরুতর বলে বর্ণনা করা হয়েছে লোকপালের নির্দেশিকায়। লোকপালের নির্দেশিকা অনুযায়ী, মহুয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন আইনে মামলার উল্লেখ করে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: স্কুল চত্বরে স্মোকিং গ্যাজেট বা ই সিগারেট সম্পূর্ণ ভাবে নিষিদ্ধ করল সংসদ
উল্লেখ্য, ২০২৩-এর নভেম্বরে ঝাড়খণ্ডের বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে (Nishikant Dubey) দাবি করেছিলেন, দুবাইয়ের শিল্পপতি দর্শন হীরানন্দানির কাছ থেকে টাকা নিয়ে সংসদে প্রশ্ন করেছেন মহুয়া। নিশানা করেছেন শিল্পপতি গৌতম আদানিকে। সবটাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে অস্বস্তিতে ফেলার জন্য। এই অভিযোগ জানিয়ে লোকসভার স্পিকারকে চিঠি দিয়ে মহুয়াকে সাংসদ পদ থেকে বরখাস্ত করার দাবি তোলেন নিশিকান্ত। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই মহুয়ার বিরুদ্ধে এথিক্স কমিটিকে তদন্তের নির্দেশ দেন স্পিকার ওম বিড়লা। দুবের অভিযোগের ভিত্তিতেই শেষ পর্যন্ত সাংসদ পদ হারিয়েছিলেন মহুয়া।
আরও খবর দেখুন