কোনো বিশেষ দরকারে টাকা প্রয়োজন পরে। গাড়ি ও বাড়ি বিক্রির পরিকল্পনা না করে অনেকে ব্যাংক থেকে সোনার বদলে লোন নিয়ে থাকেন। বহু বছর ধরেই মানুষ প্রয়োজনে সোনার বিনিময়ে ব্যাঙ্ক বা অন্য সংস্থা থেকে টাকা ধার নিয়ে থাকেন। অন্যান্য ঋণের তুলনায় এই গোল্ড লোনের ক্ষেত্রে ঋণশোধের মেয়াদ কম থাকে। ঋণের উপর সুদের হার অনেকটাই কম থাকায় অনেকেই পার্সোনাল লোনের (Personal Loan) বদলে গোল্ড লোন নিয়ে থাকেন। সোনার বদলে ঋণ নিয়ে তা শোধ করতে না পারলে আপনার সোনা কি আর ফেরত পাবেন?
মূলত গোল্ড লোনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ঋণ শোধের মেয়াদ থাকে ২ বছর। কিন্তু এই মেয়াদের মধ্যেও যদি আপনি ঋণ শোধ করতে না পারেন, তাহলে ঋণদাতা সংস্থা আপনার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ব্যবস্থা নিতে পারে।
আরও পড়ুন: শীতকালে ঠান্ডা জলে সাঁতার, ভালো না খারাপ?
গোল্ড লোনের সঙ্গে সরাসরি ক্রেডিট স্কোরের (Credit Score) সম্পর্ক না থাকলেও লোন শোধ করতে না পারলে তার প্রভাব ক্রেডিট স্কোরে পড়বে। ঋণদাতা সংস্থা ডিফল্টার হিসেবে আপনার নাম পাঠিয়ে দেবে সমস্ত এনবিএফসি ও ব্যাঙ্কের কাছে। ফলে ভবিষ্যতে কোনও ঋণ নিতে পারবেন না আপনি। যদিও বা পরে কোনওভাবে ঋণের আবেদন মঞ্জুর হয়ে যায়, সুদ অনেক বেশ হবে।
গোল্ড লোনের (Gold Loan) ক্ষেত্রে কিছু টাকা প্রসেসিং ফি হিসেবে নেওয়া হয়। সেই টাকা ছাড়াও মেয়াদের মধ্যে টাকা শোধ না করলে গুনতে হবে জরিমানা। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে টাকা শোধ না করলে যত সময় এগোবে তত বাড়তে থাকবে আপনার লেট ফাইন। অনেকক্ষেত্রে আবার ঋণ শোধের মেয়াদের আগেই টাকা পুরোপুরি শোধ করলে জরিমানাও গুনতে হতে পারে।
ঋণ শোধ করতে না পারলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আপনাকে সংস্থার পক্ষ থেকে রিমাইন্ডার দেওয়া হবে। রিমাইন্ডার দেওয়ার পরে যদি আপনি টাকা না শোধ করেন, সেক্ষেত্রে ঋণদাতা সংস্থার পূর্ণ অধিকার রয়েছে আপনার সোনা নিলামে রাখার। তবে সোনা নিলামে দেওয়ার দুই সপ্তাহ আগেই ঋণদাতা সংস্থা আপনাকে এ বিষয়ে জানাবে।
আরও অন্য খবর দেখুন