নয়াদিল্লি : প্রথমে বাংলা পরে গোটা দেশ থেকেই কার্যত বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে । নিজেদের ভ্রান্ত নীতির ফলে সাধারণ মানুষের থেকে ক্রমেই দূরে চলে গিয়েছেন বামেরা । এবার অনেকটা চাপে পড়ে নিজেদের অস্থিত্ব বাঁচানোর তাগিদে ধর্মকে আকঁড়ে ধরার চেষ্টা করল সিপিআই(এম) । বাংলার মাটিতে শূন্য হয়ে যাওয়ার পর হিন্দু ভোট ব্যাঙ্ককে ধরে রাখার শেষ চেষ্টা হিসেবে বাংলাদেশের ‘আক্রান্ত’ হিন্দু দেবতার ‘পাশে’ দাঁড়ালেন নাস্তিক কমিউনিস্টরা । যে ভাবে দুর্গাপুজোর সময় বাংলাদেশের বেশ কিছু জায়গায় মূর্তি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে, তার নিন্দা করে বিবৃতি দিল সীতারাম-কারাত-বুদ্ধদেবের দল ।
তাদের বিবৃতিতে সিপিএম বাংলাদেশের ঘটনার তীব্র নিন্দা করে লিখেছে, দুর্গাপুজো হিন্দুদের একটি ঐতিহ্যশালী অনুষ্ঠান । মানুষের আবেগ জড়িয়ে রয়েছে । এ-ভাবে মূর্তি ভাঙার ঘটনা শুধু নিন্দনীয়ই নয়, অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ।
আরও পড়ুন: পুজো মণ্ডপে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় অভিযুক্তদের ‘খুঁজে বের’ করার প্রতিশ্রুতি হাসিনার
শুধু ঘটনার নিন্দা করাই নয়, বাংলাদেশে সরকারকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার আবেদন রাখা হয়েছে বামেদের পক্ষ থেকে । সে দেশের সরকার যেন দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়, সেই অনুরোধও রাখা হয়েছে ।
প্রসঙ্গত, দুর্গাপুজো শুরুর আগেই বাংলাদেশের কুমিল্লা—সহ বেশ কিছু জায়গায় দুর্গামূর্তি ভাঙার ঘটনা সামনে আসে । বেশ কয়েকটা হিংসার ঘটনায় চার জন প্রাণ হারান । এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা করে তৃণমূল কংগ্রেস । প্রথম দিকে চুপ থাকলেও বাধ্য হয়ে মুখ খোলে বিজেপি । কেন্দ্রকে বাংলাদেশ প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলার অনুরোধ জানায় । অন্য দিকে, এই হিংসার ঘটনায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তীব্র নিন্দা করেন । দোষীদের কোনও ভাবেই রেয়াত করা হবে না বলেও জানিয়ে দেন তিনি । কিন্তু, এত কিছুর মধ্যে এত দিন চুপ ছিল বামেরা । অবশেষে, রাজনৈতিক ভাবে কোণঠাসা হয়ে যাওয়া সিপিএম এই ঘটনার নিন্দা করল ।
আরও পড়ুন: কথা রাখল হাসিনা সরকার, বাংলাদেশ থেকে ১৫ টন ইলিশ পৌঁছল পেট্রাপোল সীমান্তে