শুধু তৃণমূলকে ধরলে হবে না, ধরতে হবে বিজেপিকেও। এই দাবিতে শুক্রবার বিধানগরে সিজিও কমপ্লেক্স ঘেরাও করল বামফ্রন্ট। এদিন লেকটাউন ফুটব্রিজ, হাডকো মোড় এবং বৈশাখী ব্রিজ থেকে তিনটি মিছিল বেরোয় বেলা দুটো নাগাদ। তিনটি মিছিল জমায়েত হয় সিজিও কমপ্লেক্সের কাছে। বামেদের কর্মসূচি ঘিরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল সেখানে। পুলিশ অবশ্য মিছিল এবং জমায়েতের অনুমতি দেয়নি। বাম নেতারা আগেই জানিয়েছিলেন, পুলিশ অনুমতি না দিলেও তাদের কর্মসূচি হবেই।
সমাবেশে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, রাজ্যে প্রশাসন বলে কিছু নেই। মানুষ জেনে গিয়েছে, তৃণমূল সরকারটাই চোরেদের সরকার। চোর বললে আবার ওরা খেপে যাচ্ছে। আজ তৃণমূলকে মানুষ চোর বলছে। এরপর পুলিশকে দেখলেও মানুষ চোর বলবে। দুর্নীতির দায়ে শুধু পার্থ, অনুব্রতকে ধরলে হবে না। তৃণমূলে থাকাকালীন শুভেন্দু অধিকারীও অনেক অপকর্ম করেছেন। তাঁকেও ধরতে হবে। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়ে তিনি কি সাধু হয়ে গেলেন?
আরও পড়ুন: সম্পদবৃদ্ধি মামলায় সুপ্রিম কোর্টে আপাতত স্বস্তি ১৯ তৃণমূল নেতার
সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বলেন, এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যা আর রাজ্য চালাতে পারছেন না। তাঁর কথা তৃণমূলীরাই শুনছে না। পুলিশকে বলছি, আপনারা কেন মমতার কথা শুনে অন্যায়কে প্রশ্রয় দিচ্ছেন। তিনি বলেন, বাগুআটিতে দুটি কিশোরকে অপহরণ করে খুন করা হল। বাগুইআটি থানা হাত গুটিয়ে বসে থাকল। অসহায় পরিবারদুটিকে হেনস্তা করা হল। তাদের কাছে টাকা পর্যন্ত চাওয়া হয়েছে। শুধু আইসি এবং তদন্তকারী অফিসারকে সাসপেন্ড করলে চলবে না। বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটকেও ধরতে হবে।
সভায় ভাষণ দেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, সিপিআই নেতা স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়, আরএসপি নেতা মনোজ ভট্টাচার্য, সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী প্রমুখ। এদিন তিনটি মিছিলেই লোক ছিল চোখে পড়ার মতো। তরুণ প্রজন্মের বহু ছেলেমেয়েকে দেখা গিয়েছে। মহিলাদের উপস্থিতিও ছিল লক্ষ্য করার মতো। জমায়েতেও ভালো ভিড় হয়।
আরও পড়ুন: কেষ্টর কালীপুজোয় ৭০০ ভরি গয়না, সিবিআইয়ের নজর সম্পদের উৎসে
সমাবেশে সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম বলেন, যতদিন না সব চোর ধরা পড়বে, ততদিন বামেদের আন্দোলন চলবে। আগামিদিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলন হবে, তাতে নবান্নের ১৪ তলা কেঁপে উঠবে। তৃণমূল এবং আরএসএস ভাই ভাই সম্পর্ক। এটা মাথায় রাখতে হবে। আমরা এটা প্রথম থেকেই বলে আসছি। এদিনের এই কর্মসূচির জন্য বামফ্রন্টের সব শরিকই জেলায় জেলায় প্রচার চালায়। গত কয়েক দিন ধরে মহল্লায় মহল্লায় মিছিল, মিটিং হয়।