আসানসোল: বিচারকের প্রশ্নের মুখে পড়ে বিড়ম্বনায় ইডির আইনজীবী। গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলের মামলা আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালত থেকে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে স্থানান্তর সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল শনিবার। এ দিন আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবীর কাছে একাধিক প্রশ্নের উত্তর জানতে চান। প্রথমেই বিচারক জানতে চান কেন মামলাটি স্থানান্তরিত করতে চাইছে ইডি। বিচারকের একের পর এক প্রশ্নে বিড়ম্বনার মুখে পড়েন ইডির আইনজীবী।
স্থানান্তরিত করার ব্যাপারে যে আইন রয়েছে তার বিস্তারিত লিখিত আকারে আদালতে জমা করার আশ্বাস দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ২ সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন সিবিআই এবং ইডির আইনজীবী তাঁদের বক্তব্য এবং নথিপত্র পেশ করবেন। পরে অনুব্রত আইনজীবী তাঁর বক্তব্য জানাবেন। সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসার সুশান্ত ভট্টাচার্যের কাছে বিচারক জানতে চান এখনও পর্যন্ত গরু পাচার মামলায় কতগুলো চার্জশিট জমা পড়েছে। সুশান্ত জানান, একটি পূর্ণাঙ্গ ও চারটি সাপ্লিমেন্টরি চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ধর্ষিতার গর্ভপাত মামলায় শীর্ষ আদালতের তোপের মুখে গুজরাত হাইকোর্ট
বিচারক আরও জানতে চান, এখন পর্যন্ত এই মামলায় কতজন স্বাক্ষী রয়েছেন। উত্তরে সুশান্ত বলেন, প্রায় পাঁচশো। এরপরেই বিচারক ইডির আইনজীবী অভিজিৎ ভদ্রকে প্রশ্ন করেন, আপনারা কোন অধিকারে মামলা অন্য আদালতে নিয়ে যাচ্ছেন? কেন্দ্রীয় সরকার কি আপনাদের কোনও ক্ষমতা দিয়েছে? যদি দিয়ে থাকে তাহলে কাগজ দেখান। আপনারা পাঁচশো সাক্ষীকে সঙ্গে নিয়ে মামসা অন্য আদলতে নিয়ে যেতে চাইছেন কেন? এতে দ্রুত বিচার হবে না।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবীরা সদুত্তর দিতে পারেননি। ইডির আইনজীবী অভিজিৎ ভদ্র কিছু বলার চেষ্টা করলেও আদালত তাতে সন্তুষ্ট হয়নি। পরে বিচারকের কাছে উপযুক্ত তথ্য নিয়ে আসার জন্য সময় চান তিনি। মামলার পরবর্তী শুনানি ২ সেপ্টেম্বর।