কলকাতা: মিঠুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে হিংসায় উস্কানি দেওয়া মামলার শুনানিতে শুক্রবার হাসির রোল উঠল আদালতে৷ এ দিন কলকাতা হাইকোর্টের ৩৫ নম্বর এজলাসে বিচারপতি কৌশিক চন্দ জানতে চান, কীসের ভিত্তিতে এই অভিযোগ রুজু করা হয়েছে? মিঠুন চক্রবর্তীর আইনজীবী মাহেশ জেঠমালানি বলেন, সেন্সর বোর্ডের অনুমোদন সাপেক্ষে বাংলা সিনেমার সংলাপ নির্বাচনী প্রচারে বলেছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। তখনই বিচারপতি বলে ওঠেন সেই ডায়লগ, “মারব এখানে, লাশ পড়বে শ্মশানে”৷ এটি কখনও নির্বাচন-পরবর্তী হিংসার প্ররোচনা হতে পারে?-এ কথা বলেই বিচারপতি হাসতে শুরু করেন।
শুধু বিচারপতি নয়, বিচারপতির মুখে ওই সংলাপ শুনে এজলাসে উপস্থিত আইনজীবী এবং কর্মচারীরাও হাসতে থাকেন। পরে আদালতে উপস্থিত সরকারি আইনজীবীর কাছে বিচারপতি চন্দ জানতে চান, তদন্ত কতদূর এগিয়েছে। সরকারি আইনজীবী শাশ্বত গোপাল মুখোপাধ্যায় আদালতকে জানান, ইতিমধ্যে বিচারপতির অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ অনুযায়ী একবার ভার্চুয়ালি মিঠুন চক্রবর্তীর স্টেটমেন্ট নেওয়া হয়েছে। আবার তাঁকে নোটিস পাঠানো হতে পারে৷ সম্ভত, আগামী সোমবার পুনরায় দ্বিতীয়বারের জন্য স্টেটমেন্ট নেওয়া হবে। এর পরেই সরকারি আইনজীবী এ দিনের মতো মামলার মুলতুবির আবেদন জানান। তাঁর আবেদনে সাড়া দিয়ে বিচারপতি চন্দ আগামী বুধবার মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন।
উল্লেখ্য, একুশের নির্বাচনে বিজেপি-র ভোটের প্রচারে নিজের ছবির সংলাপ আওড়ে, গেরুয়া সমর্থকদের চাঙ্গা করতে নামেন মিঠুন। তা নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে মানিকতলা থানায় মামলা দায়ের হয়। পরে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, উস্কানিমূলক মন্তব্য, শান্তিভঙ্গের চেষ্টা, বিভিন্ন গোষ্ঠী এবং ভিন্ ধর্মের মানুষের মধ্যে বিদ্বেষ ছড়ানো-সহ একাধিক ধারায় মিঠুনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। এ দিন সেই মামলার শুনানি ছিল৷