কলকাতা: পুলিস হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনায় তিন পুলিসকর্মীকে ক্লোজ করল লালবাজার। মৃত দীপঙ্কর সাহার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই তিন পুলিসকর্মী ক্লোজ করে লালবাজার। ওই তিন পুলিসকর্মীর নাম সাব ইন্সপেক্টর অমিতাভ তামাং, কনস্টেবল আফতব মণ্ডল ও সিভিক ভলেন্টিয়ার তৈমুর আলি।
পুলিসের মারধরের জেরে শুক্রবার ভোরে মৃত্যু হয় এক যুবকের। গল্ফগ্রিন থানার বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ তোলে পরিবার। বছর ৪৪-এর মৃত দীপঙ্কর সাহা আজাদগড়ের বাসিন্দা। ময়না তদন্তের রিপোর্টে বলা হয়েছে, দুই নিতম্বে আঁচড়ের লালচে দাগ রয়েছে। দুই হাতেও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। তবে এর জন্যই মৃত্যু কিনা তা পরিষ্কার নয়। কারণ, ক্ষতগুলি এমন গভীর কিছু নয়। এছাড়া মৃতের হৃদযন্ত্র, ফুসফুসের সমস্যা ছিল। সমস্যা ছিল লিভার এবং যকৃতেও। ভিসেরা রিপোর্ট পেলে বিষয়টি আরও পরিষ্কার হবে বলে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়েছে।
পরিবার অভিযোগ করে, গত রবিবার মিথ্যে মামলায় পুলিস দীপঙ্করকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসা হয় গল্ফগ্রিন থানায়। এমনকী মারধরও করা হয় তাঁকে। পরে ছেড়ে দেওয়া হয় দীপঙ্করকে। তবে অবস্থার অবনতি হওয়ায় বৃহস্পতিবার তাঁকে ভর্তি করা এমআর বাঙুর হাসপাতলে। কিন্তু শুক্রবার ভোরে মারা যান দীপঙ্কর।
আরও পড়ুন: Cuba Fire: কিউবায় তেলের গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, কী কারণে, জানুন
তবে এই অভিযোগ মানতে চায়নি গল্ফগ্রিন থানার পুলিস। পুলিস দাবি করে, দীপঙ্কর মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। পুলিস রাউন্ডে বেরিয়ে তাঁকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। তবে আধঘণ্টা পর দীপঙ্করকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পুলিসের উচ্চপদস্থ কর্তারা থানার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে জানান, সুস্থ্য অবস্থায় কালো জামা পড়ে দীপঙ্কর থানা থেকে বেরিয়ে যান।