কলকাতা: অভিযোগ উঠছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। টাকা ঢোকার পর নানা ঘটনা ঘটছিল। কখনও স্বামী, কখনও পরিবারের অন্য কেউ। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা অন্যের হাতে চলে যাওয়ার অভিযোগ শোনা গিয়েছে বারবার। এবার তার বিরুদ্ধেই পদক্ষেপ নবান্নের। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যৌথ বা যুগ্ম অ্যাকাউন্ট (জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট)-এ নয়, এবার থেকে টাকা ঢুকবে শুধুমাত্র ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। তৃণমূল সরকারের এক ‘ঐতিহাসিক’ পদক্ষেপ। রাজ্যের মহিলারা এর সুবিধা পাচ্ছেন। প্রতি মাসে ৫০০ টাকা করে রাজ্য সরকারের তরফে পাঠানো হয় সংশ্লিষ্ট মহিলার অ্যাকাউন্টে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই প্রকল্পের জয়গান শোনা গিয়েছে সর্বত্র। কিন্তু সমস্যা তৈরি হয়েছে অন্য ক্ষেত্রে। বিশেষ করে গ্রাম বাংলায়।
এতদিন যৌথ অ্যাকাউন্টেও নথিভুক্ত-সংশ্লিষ্ট মহিলার টাকা পাঠানো হচ্ছিল। আর এখানেই অভিযোগ উঠছিল। নবান্নের খবর, অনেক ক্ষেত্রে শোনা গিয়েছে টাকা ঢোকার পর তা সংশ্লিষ্ট মহিলার হাতে পৌঁছয়নি। তাঁর অনুমতি ছাড়াই সেই টাকা হস্তগত হয়েছে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে নথিভুক্ত অপর সদস্যের। আবার জোর করে টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগও পেয়েছে নবান্ন।
আরও পড়ুন: Visva Bharati : অনলাইন বৈঠকে উপাচার্যকে অশ্লীল গালাগাল, অস্বস্তিতে বিশ্বভারতী
এই অভিযোগ শোনার পরই কার্যকর পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ঠিক হয়েছে, এবার থেকে ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট ছাড়া আর লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পাঠানো হবে না। স্বাভাবিকভাবেই সংশ্লিষ্ট মহিলার অনুমতি-সম্মতি ছাড়া অন্য কেউ আর সেই টাকা হস্তগত করতে পারবেন না। এটাই এই সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য।