কলকাতা: ইডি তদন্তকে ভুল পথে নিয়ে যাচ্ছে। তদন্ত প্রভাবিত করছে। যদি সাহস থাকে আমার স্টেটমেন্ট প্রকাশ্যে আনুক। শুক্রবার আলিপুর আদালতে প্রবেশের সময় সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে গ্রেফতার প্রসঙ্গে এমনই মন্তব্য করেন কুন্তল ঘোষ। সম্প্রতি রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (Recruitment Scam) সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুকে (Kalighater Kaku) গ্রেফতার করেছে ইডি। মঙ্গলবার দীর্ঘ ১২ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদর পর সুজয়কে গ্রেফতার করে ইডি (ED)। তথ্য গোপন, তদন্তে অসহযোগিতা করায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবি ইডি সূত্রে।
ইডির দাবি, কুন্তল ইডির কাছে দাবি করেছে, ২০১৪ সালে টেটের (Tet) সময় ৭০ লক্ষ টাকা দিয়েছিল কালীঘাটের কাকুকে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ১০ লক্ষ টাকা দিয়েছিল কুন্তল। মানিক ভট্টাচাৰ্যর সঙ্গেও যোগ ছিল কালীঘাটের কাকুর। তিনি বলছেন কিছু জানেন না। অথচ ২০২১ সালের হোয়াটস্যাপ চ্যাট রয়েছে। যাতে দেখা যাচ্ছে অ্যাডমিট কার্ড, মার্কশিট এসব নিয়ে মানিকের সঙ্গে যোগ ছিল কালীঘাটের কাকুর। এসব পাঠিয়েছিলেন মানিকের কাছে কালীঘাটের কাকু। রাহুল বেরা কালীঘাটের কাকুর ঘনিষ্ঠ। ইলেকট্রনিক তথ্য ডিলিট করার জন্য বলেছিলেন কালীঘাটের কাকু রাহুল বেরাকে। ইডি জানিয়েছে মোবাইলে চার ভাবে তথ্য মোছা হয়েছে। মানিক ভট্টাচার্য যোগ সহ সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কালীঘাটের কাকু।
আরও পড়ুন: Birbhum Incident | ফের বীরভূম থেকে উদ্ধার ৭০টি তাজা বোমা
গত ২০ মে সুজয়কৃষ্ণর বেহালার বাড়ি, অফিস সহ একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি৷ সেই তল্লাশিতে সুজয়কৃষ্ণর বিপুল সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছিল। যা তাঁর আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিবিহীন। তল্লাশিতে সুজয়কৃষ্ণর বাজেয়াপ্ত হওয়া মোবাইল থেকে উদ্ধার হওয়া তথ্য দেখিয়েও এ দিন তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তার পরে আজ তলব করা হয় ‘কালীঘাটের কাকু’কে৷ এ দিন সকাল ১১টায় সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে (যেখানে ইডির দফতর রয়েছে) হাজিরা দেন সুজয়। ইডি দফতরে প্রবেশের সময় জানিয়েছিলেন যে, তিনি যথেষ্ট ‘আত্মবিশ্বাসী’।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে সিবিআই গ্রেফতার করে বেসরকারি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ সংগঠনের নেতা তাপস মণ্ডলকে। তাঁর মুখেই প্রথম ‘কালীঘাটের কাকু’র কথা শোনা যায়। নিয়োগে দুর্নীতি সংক্রান্ত তদন্তে নাম এসেছে গোপাল দলপতির। তাঁর মুখেও ‘কাকু’র নাম শোনা গিয়েছিল। এর পরেই গোয়েন্দাদের আতশকাচের তলায় আসেন সুজয়। তাঁর নাম সামনে আসার পরই সুজয়কৃষ্ণ দাবি করেছিলেন, তিনি যেহেতু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে কাজ করেন সেই কারণেই তাঁকে হেনস্থা করা হচ্ছে৷