নয়াদিল্লি: সমস্ত কংগ্রেস কর্মীকে বালাসোর রেল দুর্ঘটনার প্রেক্ষিতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিল কংগ্রেস হাইকমান্ড। দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে শনিবার লিখিত বিবৃতিতে জানান, এই মুহূর্তে এটাই কংগ্রেস কর্মীদের কাছে অগ্রাধিকার। কংগ্রেস সভাপতি বলেন, এই দুর্ঘটনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণকে আমাদের অনেক প্রশ্ন করার আছে। কিন্তু সেই সব প্রশ্ন অপেক্ষা করতে পারে। এখন মূল কাজ হল উদ্ধার এবং মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসা।
এদিকে কংগ্রেস সভাপতির নির্দেশ পেয়েই বিভিন্ন রাজ্য থেকে কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা বালাসোরে যেতে শুরু করেছেন। অনেকে অকুস্থলে পৌঁছেও গিয়েছেন। কংগ্রেস সূত্রের খবর, দলীয় কর্মীরা রেলের অফিসার উদ্ধারকারী দল, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সঙ্গে হাতে হাত লাগিয়ে কাজ করছেন। কংগ্রেসের দুই প্রাক্তন সভাপতি সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধী বিদেশ থেকে এই দুর্ঘটনার জন্য সমবেদনা জানিয়েছেন। রাহুল এখন আমেরিকায় রয়েছেন। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সোনিয়াও এখন বিদেশে।
শুক্রবারের ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রায় এক হাজার যাত্রী জখম। এমনটাই সরকারি সূত্র জানিয়েছে। শনিবার সকাল থেকেই বালাসোরের দুর্ঘটনাস্থলে ভিভিআইপির ছড়াছড়ি। কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণ, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানে ছিলেন। বিকেলে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ ছাড়া বিভিন্ন দলের স্থানীয় নেতারাও পৌঁছে যান। হতাহতদের মধ্যে এই রাজ্যের বহু মানুষ রয়েছেন। এখানে কাজ না পেয়ে ভিন রাজ্যে কাজ করতে যাচ্ছিলেন অনেকে। এরকম অনেক পরিযায়ী শ্রমিক শুক্রবারের রেল দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন, কিংবা জখম হয়েছেন। কারও কারও এখন পর্যন্ত খোঁজ মিলছে না। মুখ্যমন্ত্রীও বলেন, হতাহতদের মধ্যে আমাদের রাজ্যের লোকই বেশি রয়েছেন। তিনি ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে রাজ্যের হতাহতদের জন্য ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করেন।