কাটোয়া: কাটোয়ার এক নম্বর ব্লকের বনগ্রামের ৭০নম্বর বুথে ভোট গ্রহণ শুরু হওয়ার একঘণ্টার মধ্যেই শেষ হল ভোট। এই ঘটনায় সরব বিরোধীরা। এক নম্বর ব্লকের বনগ্রামের ৭০ নম্বর বুথ পঞ্চাননতলা হাইস্কুলে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ বিরোধীদের। পুনরায় ভোট গ্রহণের দাবি বিরোধীদের।
অভিযোগ সকালবেলা শান্তিতেই ভোট চলছিল তারপর হঠাৎই শাসক দলের দুষ্কৃতীরা ভোটকেন্দ্রে ঢুকে প্রার্থীদের এবং এজেন্টদের বার করে দেয়। বুথের দরজা বন্ধ করে ছাপ্পা ভোট দেয় এমনই অভিযোগ বিরোধী দলের প্রার্থীরা। বার করার সময় বিজেপি প্রার্থীর পায়ে আঘাত লাগে জখম হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। পাশাপাশি কংগ্রেস প্রার্থীও একই অভিযোগ করে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ ভোট দিতে গেলে কাউকে ভোট দিতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি দরজা বন্ধ করে দেওয়া সাড়ে আটটার মধ্যে ভোট শেষ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে। যদিও পঞ্চানন তলা স্কুলে গিয়ে দেখা যায় স্কুল পুরো ফাঁকা কেউ ভোট দিতে যায়নি স্কুলে। গ্রামবাসীরা জানায় সংবাদমাধ্যম আসার খবর পেয়ে স্কুল চত্বর ফাঁকা করে চলে যায় দুষ্কৃতীরা। বিরোধী এবং গ্রামবাসীদের অভিযোগ পুলিশ নিষ্ক্রিয় থাকায় ভোট লুঠ হয়েছে। ভোট কেন্দ্রে দেখা মেলেনি কেন্দ্রীয় বাহিনীর । গ্রামবাসীরা দাবি করছেন কেন্দ্রীয় বাহিনী বাহিনী দিয়ে পুনঃ নির্বাচন করাতে হবে এই এলাকায়।
আরও পড়ুন: Panchayat Election | বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে উত্তপ্ত মালদহ, আহত বেশ কয়েকজন
এদিন সকাল ৭টায় ভোটগ্রহণ পর্ব শুরু হওয়ার আগে থেকেই বিভিন্ন জেলায় রাজনৈতিক হানাহানি চলে। তারমধ্যে মুর্শিদাবাদেই তিনজনের মৃত্যু হয়। ভোটে রক্তাক্ত মুর্শিদাবাদ, কোচবিহার, মালদহ, দুই ২৪ পরগনা, হুগলির মাটি। গ্রাম দখলের লড়াইয়ে অব্যাহত সন্ত্রাস, বোমাবাজি, বুথ দখল, ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ আসছে। ইতিমধ্যে অন্তত ৫জনের প্রাণহানি ঘটেছে।মনোনয়ন পর্ব থেকে এই নিয়ে মোট ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ভোট শুরুর তিন ঘণ্টা পর রাজ্য নির্বাচন কমিশনে এলেন কমিশনার রাজীব সিনহা। ভোট কেমন হচ্ছে এ প্রশ্নে মুখে কুলুপ রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের। এদিকে, আজ সারাদিন পঞ্চায়েত নির্বাচনের উপর মনিটরিং করতে শুরু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।