কলকাতা: বছর ঘুরলেই বিধানসভা ভোট। তবে এসআইআর ইস্যুতে ইতিমধ্যেই বাংলায় যেন ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে। ক্রমেই চড়ছে রাজনীতির পারদ। মঙ্গলবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে সরকারের কর্মকাণ্ড তুলে ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১১ সাল থেকে অর্থাৎ গত ১৫ বছরে নানা সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে বিভিন্ন দপ্তরের কাজ কতটা এগিয়েছে রাজ্যে, তাতে রাজ্যবাসী কতটা উপকৃত হয়েছেন, সেই তথ্য-পরিসংখ্যান জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। এর পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে ‘উন্নয়নের পাঁচালি’।
এদিন কাজের খতিয়ান দেওয়ার সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে ১০০ দিনের কাজ বা ‘কর্মশ্রী’। এই মুহূর্তে সেই প্রকল্পে কর্মদিবস বেড়ে দাঁড়িয়েছে গড়ে ৭০ দিন। যা কেন্দ্রের তুলনায় বেশি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, “ক্ষমতায় আসার আগে জনগণকে আমরা কী বলেছিলাম, আর এই সময়ে আমরা কী কী কাজ করেছি, সেটা মানুষকে জানানো আমাদের নিজেদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে বলে মনে করি। তাই এই রিপোর্ট কার্ড প্রকাশ করা হল।” ২০১১ থেকে ২০২৫। তখতে বসার পর থেকেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী, কৃষক বন্ধু, পড়ুয়াদের ক্রেডিট কার্ড-সহ মোট ৯৪টি সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প চালু করেছে সরকার। কীভাবে রাজ্যের স্বাস্থ্য, শিক্ষা থেকে শুরু করে প্রতিটি ক্ষেত্রে তাঁর সরকারের উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ করে চলেছে এদিনের বৈঠকে সেই পরিসংখ্যান তুলে ধরেন তিনি।
আরও পড়ুন: কমিশনের বাইরে BLO-দের বিক্ষোভ, সুপ্রিম মামলায় এবার কী হবে?
হিসেবনিকেশ অনুযায়ী, গত ১৫ বছরের নিরিখে রাজ্যের জিডিপি বৃদ্ধি হয়েছে ৪.৪১ গুণ, কর আদায় ৫ গুণ হয়েছে। এছাড়া রাজ্যজুড়ে অসংখ্য ছোট ছোট কর্মসংস্থান ও স্বনির্ভর প্রকল্প হয়েছে, যা পরিসংখ্যানের নিরিখে অত্যন্ত ভালো বলেই মনে করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ”বাংলা এখন সারা দেশের মডেল।”
দেখুন খবর: