কলকাতা: গেরুয়া শিবিরে ফের ভাঙন। বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ এবং বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসের পর এ বার বিজেপি ছাড়লেন উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক সৌমেন রায়। শুক্রবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাত থেকে দলীয় পতাকা হাতে নেন তিনি। আলিপুরদুয়ারের বাসিন্দা সৌমেন দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল করতেন তিনি। ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দেন।
তৃণমূলে যোগ দিয়ে সৌমেন বলেন, ছাত্রজীবন থেকে তৃণমূল কংগ্রেস করি। ঘটনাচক্রে বিজেপির টিকিট নিয়ে কালিয়াগঞ্জে দাঁড়াই এবং জয়লাভ করি। আমার মন প্রাণ তৃণমূল কংগ্রেসেই ছিল। আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলায় দীর্ঘ ১০ বছর ধরে যে উন্নয়নের কাজ করছেন, তার সাথী হতেই তৃণমূলে যোগ দিলাম।
দলত্যাগ করেই বিজেপিকে একহাত নেন মুকুল ঘনিষ্ঠ সৌমেন। তিনি বলেন, ‘বিজেপির কালচার বাংলার কালচারের সঙ্গে মেলে না। ওরা বিভাজনের রাজনীতি করতে চাইছে। তা বাংলার মানুষ মেনে নেবে না। মাঝখানের যে সময়টা আমি তৃণমূলে ছিলাম না, তা আমারই ভুল। আমি বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছিলাম। এর জন্য আমি দলের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।’
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক অবস্থান জানতে চেয়ে তন্ময়-বিশ্বজিৎকে চিঠি শুভেন্দুর
সোমবার সকালে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু হাত থেকে দলীয় পতাকা নিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ। এর পরই তিনি বলেন, ‘জোর করে বাংলা দখলের চেষ্টা করেছিল বিজেপি। বাঙালি অধিকার, ঐতিহ্য কোনও কিছুকেই ওরা সম্মান দিতে পারে না।’ বিধানসভা ভোটের আগে আচমকা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। গেরুয়া শিবিরে যোগদানের পরদিনই প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়।
‘দলে থেকে কাজ করতে না পারা’র কারণ দেখিয়ে মঙ্গলবার বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস তৃণমূলে যোগ দেন৷। তবে এক্ষেত্রে দল বলতে বিজেপিকে বোঝাতে চেয়েছেন তিনি। একসময়ে তৃণমূলের সঙ্গেই ছিলেন বিশ্বজিৎ দাস। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পরে তিনি যোগ দেন বিজেপি শিবিরে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে উত্তর ২৪ পরগণা জেলার বাগদা কেন্দ্র থেকে বিশ্বজিৎ দাসকে প্রার্থী করে বিজেপি।