দক্ষিণ ২৪ পরগনা: কাকদ্বীপে (Kakdwip) বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে নদী বাঁধে ধস (River Embankment Collapse)। প্রায় ১০০ মিটার অংশ জুড়ে ধস নদী বাঁধে। ২০০ মিটার বাঁধ এখনও বিপদজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে কাকদ্বীপের রামগোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের হরেন্দ্রনগর গ্রামে। গাছপালা ও ইলেকট্রিকের পোস্ট সহ এলাকাটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। তাই এবার আর ঝুঁকি না নিয়ে অন্যত্র সরানো হল বাসিন্দাদের। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বর্ষার সময় গোবদিয়া নদীর এই বাঁধটি ধস নিয়েছিল। সেই সময় বাঁধটি মেরামত করা হয়। রবিবার সকাল থেকে নদী বাঁধটিতে পুনরায় অল্প অল্প ফাটল ধরতে থাকে। সন্ধ্যা নাগাদ পুরোপুরি ধস নিয়ে নদীগর্ভে চলে যায়। এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। নদী বাঁধের কাছাকাছি থাকা বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে এই নদী বাঁধ লাগোয়া প্রায় ১০ টি পরিবার ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলি এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছে। কারণ বাস্তুভিটে টুকু ছাড়া অন্যত্র যাওয়ার তাদের কোন জায়গা নেই। সেচ দফতরকে দ্রুত কাজ শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বর্ষার সময় গোবদিয়া নদীর এই বাঁধটি ধ্বস নিয়েছিল। সেই সময় পুরো নদী বাঁধটি মেরামত করা হয়েছিল। রবিবার সকাল বেলা থেকে নদী বাঁধটিতে পুনরায় অল্প অল্প ফাটল ধরতে থাকে। সেই সময় এতটা বোঝা যাচ্ছিল না। কিন্তু বিকেল নাগাদ পুরোপুরি ধ্বস নিয়ে নদী গর্ভে চলে যায়। সোমবার সকাল থেকে নদী বাঁধের ধ্বস আরও ভয়ংকর আকার ধারণ করে। এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। নদী বাঁধের কাছাকাছি থাকা বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে এই নদী বাঁধ লাগোয়া প্রায় ১০ টি পরিবার ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলি এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছে। কারণ বাস্তুভিটে টুকু ছাড়া অন্যত্র যাওয়ার তাদের কোন জায়গা নেই। রবিবার রাত থেকেই ঘরছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত দশটি পরিবারের সদস্যরা। পরিবার নিয়ে কোথায় যাবে কি খাবে সেই প্রশ্নই ঘোরাঘুরি করছে এই সকল পরিবারগুলির মাথায়।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার সন্দেশখালি নিয়ে তৃণমূল জেলা নেতৃত্বের বৈঠক বসিরহাটে
ঘটনাস্থলে সেচ দফতরের আধিকারিকরা এসে পৌঁছেছে। অন্যদিকে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রতিনিধিরা ও ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছে। সেচ দফতরের নির্দেশে দ্রুত কাজ শুরু করার। রাতেই কাকদ্বীপ বিডিও ঘটনাস্থলে পৌঁছান। আজও অমাবস্যার কোটালের জেরে নদীতে জল বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এই মুহূর্তে বাঁধ ভাঙ্গনের আতঙ্ক তারা করছে এলাকার মানুষদের। গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে ব্লক প্রশাসন।
অন্য খবর দেখুন