কলকাতা: যাদবপুর কাণ্ডের ঘটনায় এবার নয়া মোড়। হস্টেল সুপারের দাবি, হস্টেলে র্যাগিং চলত। তা জানতেন কর্তৃপক্ষও। যদিও তা থামাতে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এমনকী হস্টেলে নেশা করা হত বলেও মুখ খুলেছেন তিনি। পাশাপাশি হস্টেলে সিনিয়রদের প্রভাব ছিল বলেও দাবি করেন সুপার।
হস্টেলে ব়্যাগিং যে চলত, তা জানা ছিল সুপারের। নতুন ছেলেরা এলেই প্রত্যেকটি রুমে গিয়ে তাঁদের ইন্ট্রো দিতে হত। কিন্তু ইন্ট্রোর নামে যে ছাত্রমৃত্যুর মতো ঘটনাও ঘটতে পারে, তা ধারণায় ছিল না তাঁর। এমনই দাবি করেছেন যাদবপুরের প্রধান ছাত্রাবাসের এক হস্টেল সুপার। তাঁর দাবি, হস্টেলে যে র্যাগিং হত, নেশার আসর বসত, তা সবই জানেন কর্তৃপক্ষ। যদিও রাতে কোনও গোলমাল হলে কোনও দিনই কর্তৃপক্ষকে পাশে পাননি বলে দাবি করেছেন তিনি। হস্টেল সুপার বলছেন, কর্তৃপক্ষ সবই জানেন। এটা যাদবপুরে আজ প্রথম হচ্ছে না। বরাবরই যাদবপুরে এটা হয়ে এসেছে। কর্তৃপক্ষ সবই জানতেন, কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নিতেন না। আমরা কখনও কখনও মৌখিক ভাবে বলেছি। তাঁর আরও দাবি, হস্টেলে মোট দু’জন সুপার রয়েছে। মোট ৬০০ পড়ুয়া থাকেন হস্টেলে। হস্টেলে নজরদারি করতে গেলে তাঁদের বাধা দেওয়া হত বলেও অভিযোগ সুপারের। সুপারের দাবি, হস্টেলে র্যাগিংই সহ রমরমিয়ে চলত নেশা। প্রতিবাদ করার আগে দুবার ভাবতাম।
আরও পড়ুন: পথ দুর্ঘটনায় সিভিক ভলান্টিয়ার সহ মৃত তিন
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে দীর্ঘদিন ধরে ব়্যাগিং চললেও ডিন অফ স্টুডেন্টস সহ অনেক অফিসারই মুখ বুজে থেকেছেন দিনের পর দিন। তদন্তকারী অফিসাররা রেজিস্ট্রারের সঙ্গে কথা বলেও সন্তুষ্টু হতে পারেননি। সূত্রের খবর, অনেক প্রশ্নের জবাবেই রেজিস্ট্রার জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টদের থেকে জেনে তারপর তিনি বলতে পারবেন।
বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক অফিসার , শিক্ষককেও লালবাজারে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। রাজ্যপাল তথা আচার্য সি ভি আনন্দ বোস বিভাগীয় প্রধানদের ওই দিনই বৈঠক করেন রাজভবনে। দুটি ক্ষেত্রেই অনেক শিক্ষক এবং অফিসার জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে এই মুহূর্তে কার্যত অনাথ। তার জন্যই এত অরাজকতা। তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন ডিন অব স্টুডেন্টস, হস্টেল সুপার এবং রেজিস্ট্রারের ভূমিকা নিয়েও।