ওয়েব ডেস্ক: ঝার নদীর জল উপচে পড়ায় বিপর্যস্ত হয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। ঝাড়গ্রাম ও বাঁকুড়ার (Bankura) মধ্যে সংযোগকারী গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা-ঘাট ভেঙে পড়েছে জলের চাপে।
তারাফেনী নদীর উপর এঁটালার কাছে ঝাড়গ্রাম–বাঁকুড়া ৫ নম্বর রাজ্য সড়কের কালভার্টটি সম্পূর্ণ জলের তলায় চলে গিয়েছে। পাশাপাশি গোপীবল্লভপুর ২ নম্বর ব্লকের ডুলুং নদীর উপর থাকা বাঘেশ্বর ও বড়ামারার কজওয়েও ডুবে গিয়েছে নদীর জলে। এর ফলে বড়ো সমস্যায় পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন: বঙ্গে বর্ষার প্রবেশ, কোন কোন জেলায় জারি সতর্কতা? দেখুন
প্রতিবার বর্ষার সময় যেমনটা দেখা যায়, এ বারেও গিধনি, চিঁচিড়া, চিল্কিগড়-সহ বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ জলবন্দি অবস্থার মুখে পড়েছেন। বিশেষ করে চিল্কিগড়ের কজওয়ে জলের তলায় চলে যাওয়ায় জামবনি ব্লক সদরের সঙ্গে জেলা সদর ঝাড়গ্রামের যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের দাবি থাকলেও এখনো সেখানে ব্রিজ তৈরির কাজ শুরু হয়নি। যদিও জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে মাটি পরীক্ষা ও নকশা তৈরির কাজ শেষ হয়েছে, অর্থ বরাদ্দ পেলেই কাজ শুরু হবে।
স্থানীয় বাসিন্দা শক্তিপদ রানা জানিয়েছেন, “প্রতিবছর বর্ষায় এই সমস্যার মুখে পড়ি। রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়, যাতায়াত অসম্ভব হয়ে ওঠে। বহু বছর ধরে আমরা ব্রিজের দাবি জানিয়ে আসছি, কিন্তু আজও কিছু হল না।”
অন্য দিকে, ডুলুং নদীর উপর বড়ামারার কজওয়ে জলের নিচে চলে যাওয়ায় লোধাশুলি থেকে গোয়ালমারা, মহাপাল, রগড়া— এই সব গ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়েছে। লালগড় ব্লকের রামগড় এলাকাতেও মুরার খালের জল বেড়ে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে লালগড় ও রামগড়ের মধ্যে।
তবে আশঙ্কা আরও বাড়িয়েছে সুবর্ণরেখা নদীতে হঠাৎ করে জল বাড়া। বৃহস্পতিবার ঝাড়খণ্ডের গালুডি জলাধার থেকে সকাল ও দুপুর মিলিয়ে মোট ৩ লক্ষ ৭২ হাজার কিউসেকেরও বেশি জল ছাড়া হয়েছে। তাই ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুর ১ ও ২, সাঁকরাইল এবং নয়াগ্রাম ব্লকের উপর বিশেষ নজর রাখছে প্রশাসন।
জেলার পরিস্থিতি সামাল দিতে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর ইতিমধ্যেই আটটি ব্লকে পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী মজুত করেছে। জেলায় ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। জেলার বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ গায়েন জানিয়েছেন, “প্রত্যেকটি ব্লকে কুইক রেসপন্স টিম তৈরি আছে। পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তবে আমরা সবরকম প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।”
দেখুন আরও খবর: