ওয়েব ডেস্ক: জেন-জি বিক্ষোভে জ্বলছে নেপাল (Nepal)। সেনার (Army) নির্দেশের পর পদত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি (K P Sharma Oli)। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন নেপালের মন্ত্রীরা। বিক্ষোভকারীদের তাণ্ডব, ভাঙচুর-লুটপাটে অগ্নিগর্ভ নেপালের পরিস্থিতি। নেপালের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর এবার নেপালের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। নেপালে এই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির নেপথ্যে যে বহিরাগত শক্তি কাজ করছে তেমনটাই উল্লেখ করলেন বিজেপি নেতা। বুধবার সকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বিজেপি নেতা বললেন,”অন্তর্নিহিত সমস্যা তো রয়েছে। তবে বহিরাগত শক্তির হাতও রয়েছে।” নেপালের
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার নেপাল সরকার ফেসবুক, হোয়াটস্যাপ সহ ২৬ টি সোশ্যাল মিডিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। অভিযোগ ছিল, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এই সংস্থাগুলি রেজিস্ট্রেশন করেনি। তাই নেপালে ২৬টি সোশ্যাল মিডিয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়। তারপরেই ক্ষোভের আগুনে ফুঁসতে থাকে যুব সমাজ। সোমবার থেকেই কাতারে কাতারে জেন জি বা যুব সমাজ নেপালের রাস্তায় বিক্ষোভে নামে। পার্লামেন্ট, মন্ত্রীদের বাসভবনে আগুন লাগিয়ে দেয় ছাত্র-যুবরা। পড়ে সরকার নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেও থামেনি বিক্ষোভ। চাপের মুখে পড়ে ইস্তফা দেন প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার আগুনে ঝলসে প্রাণ হারান নেপালের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ঝালানাথ খানালের স্ত্রী রাজ্যলক্ষ্মী চিত্রকর। পরিস্থিতির মোকাবিলায় নেপালের রাস্তার দখল নামে সেনাবাহিনী।
আরও পড়ুন: নেপালের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারত, কী বললেন নরেন্দ্র মোদি?
বুধবার নেপালের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ(Dilip Ghosh)। অন্তর্নিহিত সমস্যার পাশাপাশি বহিরাগত শক্তির কথা উল্লেখ করে দেশের আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কায় প্রকাশ করলেন তিনি। নেপালের এই সংকটের সুযোগ নিয়ে বহু মানুষ যে সীমান্ত পেরিয়ে নেপাল থেকে ভারতে প্রবেশ করতে পারে এমন আশঙ্কার সুরও শোনা গেল দিলীপের গলায়।
বুধবার সকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বিজেপি নেতা বললেন, “গত ৫-৭ বছরে ভারতের বিভিন্ন প্রতিবেশী দেশে এমন পরিস্থতি সৃষ্টি হয়েছে। এর পিছনে অন্তর্নিহিত শক্তির পাশাপাশি বহিরাগত শক্তিরও হাত রয়েছে। যার জেরে দেশগুলো আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছে। আমাদের দেশেও প্রভাব পড়বে। দ্রুত শান্তি ফিরুক।”
দেখুন অন্য খবর