কলকাতা: শারীরিক অবস্থার অবনতি নিয়ে আগামীকাল কলকাতারই একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য (Buddhadeb Bhattacharjee)। রবিবার তাঁকে দেখতে হাসপাতালে হাজির হন সিপিএম (CPM)নেতা সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chacraborty), বিমান বসু-সহ (Biman Basu) আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি (ISF Naushad Siddiqui)। হাসপাতালে গিয়ে তাঁরা বুদ্ধবাবুর পরিবারের লোকেদের সঙ্গে কথা বার্তা বলেন। তারপর হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি।
উল্লেখ্য, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের চিকিৎসার জন্য মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। সেই মেডিক্যাল বোর্ডের তত্ত্বাবধানেই চিকিৎসা চলছে বুদ্ধদেববাবুর। রবিবার সকালেও ভেন্টিলেশনেই রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁর স্বাস্থ্যের অবস্থা এখনও সঙ্কটজনক। তবে আগের তুলনায় খানিকটা স্থিতিশীল। প্রথমে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে ‘নন-ইনভেসিভ ভেন্টিলেশন (Ventilation)’-এ রাখা হয়। তাঁর অবস্থা দেখে রাতে ‘ইনভেসিভ ভেন্টিলেশন’-এ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেনে চিকিৎসকেরা। হাসপাতাল সূত্রে খবর, আগামী তিনদিন ভেন্টিলেশন পর্যবেক্ষণে থাকবেন তিনি।
আরও পড়ুন: Buddhadeb Bhattacharya | Health Update | এখনও কাটেনি সংকট, বুদ্ধবাবুকে রাইস টিউব দিয়ে খাওয়ানো হয়
শনিবার সারা রাত কড়া পর্যবেক্ষণে ছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। হাসপাতাল সূত্রে খবর, রাতে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের রক্তচাপ ও অক্সিজেনের মাত্রা মোটামুটি ঠিক ছিল। মূত্রত্যাগের পরিমাণও সঠিক ছিল। তবে বেশি ছিল রক্তে সুগারের পরিমাণ। ক্রিয়েটিনের মাত্রা সামান্য বেশি। তবে এখনও কাটেনি সংকট।
দীর্ঘ দিনের সিওপিডি-র রোগী বুদ্ধদেব শনিবার গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকেরা। পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, দুপুরের খাবার খাওয়ার পরেই শ্বাসকষ্টের সমস্যা বৃদ্ধি পায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর। তার পর তড়িঘড়ি পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়ি থেকে তাঁকে আলিপুরের ওই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জানা গিয়েছে, চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর দু’টি ফুসফুসেই ভাল রকম সংক্রমণ ছড়িয়েছে। এ ছাড়া তিনি ‘বাইল্যাটারাল নিউমোনিয়া’-তে আক্রান্ত। শরীরে ‘ড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়া’-র উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে। তা থেকেই নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন বুদ্ধদেব। তবে শরীরে জ্বর নেই তাঁর। স্যালাইনের মাধ্যমে চলছে উচ্চমাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক।