কলকাতা: বালেশ্বরের ট্রেন দুর্ঘটনার (Baleshwar Train Accident) তদন্ত (Inquiry) সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) কর্মরত কোনও বিচারপতিকে দিয়ে করানোর দাবি তুলল সিটু অনুমোদিত ওয়েস্ট বেঙ্গল মাইগ্রান্ট ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লাহ গায়েন সোমবার এক বিবৃতিতে বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার তড়িঘড়ি সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। আমরা মনে করি, এই তদন্ত সঠিক ভাবে হবে না।
ইউনিয়নের দাবি, ওই দুর্ঘটনায় হতাহতের মধ্যে বেশির ভাগই এ রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিক। মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মালদহ, পূর্ব বর্ধমান প্রভৃতি জেলা থেকে শুক্রবার ভালো মজুরি ও কাজের আশায় তাঁরা দক্ষিণের বিভিন্ন রাজ্যে যাচ্ছিলেন করমণ্ডল এক্সপ্রেসে। ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বলেন, পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে অধিকাংশই ট্রেনের অসংরক্ষিত কামরায় যাতায়াত করেন। রেল মন্ত্রক আহত এবং নিহতদের কিছু তালিকা প্রকাশ করেছে। তাঁদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও ঘোষণা করা হয়েছে। পরিযায়ী শ্রমিকদের নাম কোনও তালিকাতেই নেই।
আরও পড়ুন: Aajke | সুভদ্রার তিন ছেলে ফিরল না ঘরে
ইউনিয়ন বলছে, করোনাকালে যাঁরা মারা গিয়েছিলেন, সেই পরিযায়ী শ্রমিকদের তালিকা কেন্দ্রীয় সরকার আজ পর্যন্ত প্রকাশ করেনি। তাঁদের পরিবার আজ পর্যন্ত কোনও ক্ষতিপূরণ পাননি। ওই ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত এবং আহতদের সঠিক তালিকা এখনও পাওয়া যায়নি। আসাদুল্লাহ বলেন, রেল বলছে, ২৭৫ জনের মৃত্যু ঘটেছে। ৫০০-রও বেশি জখম হয়েছেন। কিন্তু আমাদের আশঙ্কা, হতাহতের সংখ্যা আরও বেশি। পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে কর্মসংস্থানের খুব অভাব। তাই কম বয়সি ছেলেমেয়েরা কাজের সন্ধানে দলে দলে বাইরে চলে যান পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে।
ইউনিয়নের দাবি, ওই ঘটনার তদন্ত সুপ্রিম কোর্টের কর্মরত কোনও বিচারপতিকে দিয়ে করাতে হবে। অসংরক্ষিত কামরায় যেসব যাত্রী ছিলেন, তাঁদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। নিহত প্রতি যাত্রীর পরিবার থেকে একজন করে চাকরি দিতে হবে রেলে। ১০ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। রাজ্য সরকারকেও নিহতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ এবং আহতদের ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।