কোভিড পরিস্হিতিতে তৃণমূল কংগ্রেস ও তার শাখা সংগঠনগুলি মানুষের স্বার্থে কাজ করে গেছে। এরই মাঝে মোকাবিলা করেছে আমফান ও যশ ঘূর্ণিঝড়ের। কোভিড পরিস্হিতিতে অনেককে গ্রাস করেছে আতঙ্ক। আতঙ্ক এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে নিকট আত্মীয়ের শঙ্কটকালে সরে থেকেছেন অনেকেই। মুমূর্ষ অবস্হাতেও দূরে সরে থেকেছেন নিকট আত্মীয়র। এরকম একটা পরিস্থিতিতে সঙ্কট তৈরি হয়েছিল রাজ্যের ব্লাড ব্যাঙ্কগুলোতে। অভিযোগ উঠেছিল, কেন্দ্রের বাংলার প্রতি বঞ্চনাই এই রক্ত সঙ্কটের মূল কারণ। ২৪০টি আসন বিশিষ্ট তামিলনাড়ু বিধানসভায় ১ দফায় ভোট হলেও রাজ্যের ২৯৪ আসনের জন্য প্রায় তিনমাস ধরে ৮ দফা ভোটই এই সঙ্কটের মূল কারণ বলে অভিযোগ করেন তৃণমূল শ্রমিক নেত্রী দোলা সেন। ভোটের দামামায় সঙ্কটে পরেছিল থ্যালাসেমিয়া ও রক্ত সল্পতায় ভুগতে থাকা রুগীরা। রাজ্যের থ্যালাসেমিয়া রোগী সহ মুমূর্ষ রোগীদের রক্তসঙ্কট দূর করতে গত ২৫ মে তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনের কোর কমিটি রাজ্য জুড়ে একমাস ব্যাপী রক্তদান শিবিরের উদ্যোগ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সংগঠনের সর্বভারতীয় সভাপতি তথা সাংসদ দোলা সেন কর্মীদের কাছে রক্তসঙ্কট মোকাবিলায় এগিয়ে আসার আবেদন জানান।
তাঁর আবেদনে সাড়া দিয়ে গত ৩০ মে থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত ৩১ দিনে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ৪০ টি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আই এন টি টি ইউ সি। এই রক্তদান শিবিরগুলিতে প্রায় ৪৯৪৩ জন রক্তদাতা তাদের রক্ত দেয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়া ৫৩১ জন, হাওড়ায় ১০০০ জন ও দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে ২২২ জন রক্তদাতা তাদের রক্তদান করেন।
সংগঠনের সর্বভারতীয় সভাপতি এবং শ্রমিক নেত্রী দোলা সেন আয়োজক সংগঠক ও রক্তদাতাদের অভিনন্দন জানান। এক বার্তায় শ্রমিক নেত্রী তথা সাংসদ দোলা সেন বলেন, ”এই কোভিড পরিস্থিতিতে, যখন অসংগঠিত শ্রমিকদের বেশির ভাগেরই রোজগার নেই, তখন তাঁদের এই সামাজিক উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।” তিনি সংগঠনের শ্রমিক কর্মচারী ও স়ংগ্রামী বন্ধুদেরও অভিনন্দন জানান।