বীরভূম: পঞ্চায়েতে ভোটের আগেই রাজ্য রাজনীতি মানচিত্রে দেখা যাচ্ছে একাধিক পরিবর্তন। কোথাও শাসকদল ছেড়ে বিরুধী শিবিরে যোগ দিয়েছেন মানুষ, কোথাও আবার বিরোধীদের হাত ছেড়ে শাসকদলের হাত ধরতে দেখা গিয়েছে। এতও গন্ডগোল, অশান্তির মধ্যেই কিছুটা হলেও ঘরওয়াপসি ঘাসফুল শিবিরের। অনুব্রতহীন বীরভূমের মাটিতে বিজেপি ছেড়ে ১০০টি পরিবার যোগ দিল তৃণমূলে। ময়ূরেশ্বর বিধানসভার দক্ষিণগ্রাম গ্রামে তৃণমূলের একটি দলীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই পদ্ম শিবির ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরে যোগ গ্রামের ১০০টি পরিবারের।
নবাগতদের হাতে দলীয় পতকা তুলে দিয়ে তাঁদের স্বাগত জানালেন ময়ুরেশ্বরের বিধায়ক অভিজিৎ রায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে সামিল হতে চেয়েই বিজেপি ছেড়ছেন বলে দাবি দলত্যাগিদের। অন্যদিকে বাঁকুড়ায় ভোটের প্রচারে নেমেই বড় চমক দিলের তৃণমূল প্রার্থী। প্রার্থীর হাত ধরে বিজেপি ও সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন একাধিক কর্মী।
আরও পড়ুন: Panchayat Election 2023 | ভোটের দিন বাড়ানো নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি জানালেন নির্বাচন কমিশনার
বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর ব্লকের ভড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কুলডাঙ্গার ৩৯ নং জেলা পরিষদের আসনের প্রার্থী তথা বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল সম্পাদক সহদেব বাগদি। শুক্রবার সন্ধ্যে বেলায় বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর ব্লকের ভড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কুলডাঙ্গর বুথে প্রচার করতে যান তিনি। এদিন প্রচারের সময় বিজেপির ৪০ জন কর্মী ও সিপিএম-এর ১০ জন কর্মী তৃণমূলে যোগ দেন বলে দাবি করেন সহদেব।
প্রসঙ্গত, আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সেইমতো রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে প্রথম দফায় ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে চিঠি দেয়। শনিবার ত্রিস্তর গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে বীরভূম জেলায় এসে পৌঁছল কেন্দ্রীয় বাহিনী। জেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে শুরু হল রুট মার্চ। শনিবার বীরভূমের বোলপুর থানা অন্তর্গত রায়পুর সুপুর অঞ্চলে সকাল থেকেই বিভিন্ন গ্রামে টহল দিচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
বোলপুর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক নিখিল আগারওয়াল এবং বোলপুর থানা আইসি সুমন্ত বিশ্বাসের নেতৃত্বে রায়পুর, কাকুটিয়া, সুপুর সহ বিভিন্ন গ্রামে চলছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর অভিযান। এদিন জাওয়ানরা গ্রামের মানুষদের সঙ্গে কথা বলেন। সুনিশ্চিত করছেন নিরাপত্তার বিষয়গুলিও। পঞ্চায়েত ভোটে যাতে কোনওরকম অশান্তির পরিবেশ তৈরি না হয়, তার জন্য আশ্বস্ত করছেন গ্রামবাসীদের।