কলকাতা: ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের সকলকে নোটিস দেওয়ার নির্দেশ দিল বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ। স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কলকাতা হাইকোর্ট এই ডিভিশন বেঞ্চ গঠন করেছে। সেই বেঞ্চেই এখন এই মামলার শুনানি চলছে। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, ছয় মাসের মধ্যে শুনানি শেষ করতে হবে। আর ডিসেম্বর মাসের মধ্যে সিবিআই এবং ইডিকে তদন্ত শেষ করতে হবে। ৯ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে।
বুধবার বিচারপতি বসাকের বেঞ্চ বলেছে, ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম, দশম, একাদশ এবম দ্বাদশে যে সব শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের সকলকে নোটিস দিয়ে জানাতে হবে, আদালতে মামলা চলছে। এ মাসের বেতন পাওয়ার আগেই সবাই নোটিস পেয়েছিন কি না, তাও নিশ্চিত করতে হবে। শুধু তাই নয়, এই মর্মে তাঁদের স্বাক্ষরও করিয়ে নিতে হবে। আদালতের নির্দেশ, রাজ্য সরকারকেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে। সরকারকে এ ব্যাপারে একজন নোডাল অফিসার নিয়োগ করতে হবে, যিনি হলফনামা দিয়ে আদালতে জানাবেন, এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়েছে কী হয়নি।
আরও পড়ুন: বারুইপুরে প্রকাশ্য দিবালোকে পুকুর ভরাটের অভিযোগ
বিচারপতি বসাকের বেঞ্চ এদিন বলে, আদালত যার পক্ষেই চূড়ান্ত নির্দেশ দিক না কেন, তার ফলে বহু শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী প্রভাবিত হতে পারেন। যাঁরা আদালতে আসেননি, তাঁদেরও জানা দরকার যে, মামলা আদালতের বিচারাধীন।
চাকরিহারাদের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, যাঁরা মামলা করেছেন, তাঁরা নোটিস দিন। জনগণের টাকা খরচ করে সরকার কেন নোটিস দেবে। বেঞ্চ বলে, যদি দেখা যায়, নিয়োগ বেআইনি হয়েছে, তবে এই গোটা প্রক্রিয়ার ব্যয়ভার কে বহন করবে। ৯ জানুয়ারি সিবিআইকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। তাতে যদি আদালত দেখে যে, দুর্নীতি হয়েছে, তখন কী হবে।
কল্যাণ বলেন, যাঁরা বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ হোক। কিন্তু সবার কেন চাকরি যাবে। একক বেঞ্চ বন্দুকের নলের মুখে কাজ করতে বলেছে। এভাবে চললে তো আইনজীবীদের পেশা ছাড়তে হবে। আদালত এদিনও প্রশ্ন তোলে, স্কুল সার্ভিস কমিশন কলকাতা হাইকোর্টে এবং সুপ্রিম কোর্টে দুই রকম অবস্থান নিচ্ছে। এটা কী করে হয়।